কথায় বলে – ‘নামে কী বা আসে যায়!’ সত্যিই তাই, নাম যাই হোক কাজ দিয়েই পরিচয় পান একজন মানুষ। তবে, নামও জীবনে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, বিশেষ করে ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে।
আজকের লেখার বিষয়টাও নাম নিয়ে, অবশ্যই সেই নামগুলো ক্রিকেটারদের। এই তালিকায় তারাই জায়গা পেয়েছেন যাদের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের মূদ্রার নামে।
- ডলার মাহমুদ (বাংলাদেশ)
নড়াইল থেকে জাতীয় দলে খেলা একমাত্র পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা নন। আছেন ডলার মাহমুদও। যদিও তিনি খেলেছেন মাত্র সাতটি ওয়ানডে। পেয়েছেন আট উইকেট।
২০১৮ সাল অবধি ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা ডান-হাতি এই পেসার এখন কোচিংয়ে মন দিয়েছেন। ডলার কোথাকার মূদ্রা সেটা তো না বলে দিলেও চলে।
- পল স্টার্লিং (আয়ারল্যান্ড)
আধুনিক আয়ারল্যান্ডের সেরা ক্রিকেটারদের একজন পল স্টার্লিং। আইরিশদের হয়ে খেলছেন তিন ফরম্যাটেই। তাঁর ভাই রিচার্ড স্টার্লিংও ক্রিকেটার। স্টার্লিং হল ব্রিটেনের মূদ্রার নাম। পল প্রায় সাড়ে ছয় হাজার আন্তর্জাতিক রানের মালিক। মজার ব্যাপার হল স্টার্লিং নামে মধ্য স্কটল্যান্ডে একটা শহরও আছে, যার স্টার্লিং প্রাসাদ বেশ বিখ্যাত।
- স্যার ফ্রাঙ্ক ওরেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
ক্যারিবিয়ানদের ইতিহাসের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক তিনি। তাঁর নাম অনুসারেই নামকরণ করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক টেস্ট সিরিজের।
৫১ টি টেস্ট খেলে ওরেল প্রায় ৫০-এর কাছাকাছি গড়ে টেস্টে চার হাজারের কাছাকাছি রান করেছেন। ফ্রাঙ্ক এককালে ফ্রান্সের মূদ্রা ছিল। অন্যদিকে, সুইস ফ্রাঙ্কের প্রচলন এখনও আছে।
স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান স্যার ফ্রাঙ্ক ওরেল জ্যামাইকার সিনেটরও ছিলেন। তিনি মাত্র ৪২ বছর বয়সে মারা যান, লিউকোমিয়াতে আক্রান্ত হয়ে।
- রুবেল হোসেন (বাংলাদেশ)
তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের সেরা পেসারদের একজন রুবেল। লাসিথ মালিঙ্গার সাথে বোলিং অ্যাকশনে মিল থাকায় ক্যারিয়ারের শুরুতে তাঁকে নিয়ে বেশ হৈচৈ হয়।
রুবেল হল রাশিয়ার মূদ্রার নাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ডান-হাতি পেসার রুবেল দুশোর ওপর উইকেট পেয়েছেন। ১১ বছর ধরে তিনি খেলছেন জাতীয় দলে। ম্যাচ খেলেছেন দেড়শোর ওপরে।
- রোমেল কারেন্সি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
বড় কোনো ক্রিকেটার তিনি নন, তবে এই তালিকায় তিনি খুব ভাল ভাবেই থাকার যোগ্য দাবিদার। কারণ, কারেন্সি অর্থ হল মূদ্রা।
এই ক্যারিবিয়ান অফ স্পিনার কাম ডান-হাতি ব্যাটসম্যান খেলছেন ক্যারিবিয়ান ঘরোয়া লিগে। বড় মাপের ক্রিকেটার তিনি কখনোই ছিলেন না, আসেননি জাতীয় দলের কাছাকাছিও। তবে, প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ৩০ টি।
একটা মজার তথ্য দেই, রোমেলের সৎ ভাই হলেন সুনিল আমব্রিস। ক্যারিবিয়ান দলের এই নিয়মিত সদস্যের ক্যারিয়ারে কারেন্সির বিস্তর প্রভাব। অনেক সাক্ষাৎকারে সেটা তিনি নিজেই বলেছেন।