আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারও ফিরে এসেছে নিষিদ্ধ ড্রাগ ব্যবহার বিতর্ক। সম্প্রতি ড্রাগ ব্যবহারের দায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পেসার কাগিসো রাবাদা সাময়িকভাবে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। তবে রাবাদা একা নন, এর আগে অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটারেই ড্রাগ ব্যাবহার করে নিজেদের ক্যারিয়ারকে করেছেন কলঙ্কিত।
রাবাদা চলতি আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলছিলেন। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচের পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিজ দেশে ফিরে যান। এরপরই জানা যায় তার নিষিদ্ধের খবর।
ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ শুরু হবার ঠিক আগে ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হন এবং এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তবে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন স্বমহিমায়।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামও রয়েছেন এই তালিকায়। তাঁর আত্মজীবনীতে স্বীকার করেছেন, অবসর গ্রহণের পর তিনি কোকেন সেবনে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তবে ২০০৯ সালে তাঁর স্ত্রী হুমা আকরামের মৃত্যুর পর তিনি তা বন্ধ করে দেন।
ভারতের ইউসুফ পাঠানও ডোপ টেস্টে ফেল করে পাঁচ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এছাড়াও, পাকিস্তানের শোয়েব আখতার, মোহাম্মদ আসিফ, ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম, দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবসসহ অনেক বড় নামও কোনো না কোনোভাবে ড্রাগ বিতর্কে জড়িয়েছেন।
সর্বশেষ এই তালিকায় যুক্ত হলেন কাগিসো রাবাদা। যা বর্তমানে সময়ের ক্রিকেটে অশনী সংকেত। শুধু তাই নয়, তরুণ প্রজন্মের জন্যও এ ধরনের কার্যক্রম দিয়ে রাখলো ভুল বার্তা।