আগামী ছয় অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যনির্বাহী পর্ষদের নির্বাচন। সারা দিন ভোট গ্রহণ শেষে ঐ দিনই প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে এবং সাত অক্টোবর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অবস্থিত বিসিবির কার্যালয়ে।
আজ (২১ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সভায় নির্বাচনের সব কিছু চূড়ান্ত করা হয়েছে। বোর্ডের এই নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে চলতি মাসের ২৪ ও ২৫ তারিখে। আর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ সেপ্টেম্বর।
আজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন ১৭১ জন ভোটার ভোট দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছেন। এবারের নির্বাচনে ক্যাটাগরি-১ এ ১০ জন পরিচালক, ক্যাটাগরি-২ এ ১২ জন পরিচালক এবং ক্যাটাগরি-৩ এ ১ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন।
সর্বশেষ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালে। ঐ নির্বাচনে জয় লাভ করে দ্বিতীয় বারের মত বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে ঐ কমিটির চার বছরের মেয়াদ। এর আগে ২০১২ সালে প্রথম বারের মত বিসিবির শীর্ষ আসনে বসেন পাপন।
২০১২ সালে বিসিবির সাবেক সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সভাপতি নির্বাচিত হলে মোস্তফা কামালের পদে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে স্থলাভিষিক্ত হন পাপন। এরপর ২০১৩ সালে বিসিবির নির্বাচনে জয় লাভ করে প্রথম বারের মত দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
বিসিবির সর্বশেষ কমিটিতে সদস্য রয়েছেন ২৫ জন। সদস্যরা হলেন, নাজমুল হাসান পাপন, মো: লোকমান হোসেন ভুঁইয়া, মোহাম্মদ জালাল ইউনুস, মাহবুবউল আনাম, শওকত আজিজ রাসেল, গাজী গোলাম মুর্তজা, নজিব আহমেদ, তানজিল চৌধুরী, মনজুর কাদের, আফজাল-উর-রহমান সিনহা, মো: হানিফ ভুঁইয়া, মুহাম্মদ ইসমাইল হায়দার মল্লিক, খালেদ মাহমুদ সুজন, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলমগীর খান, আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, মোঃ আকরাম খান, শেখ সোহেল, কাজী ইনাম আহমেদ, মোঃ সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী, এ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম, মোঃ এনায়েত হোসেন সিরাজ।
তবে এবার এদের অনেকেই হয়তো থাকবেন না। আজ গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন বোর্ডের নেতৃত্বে তিনি নতুন কাউকে দেখতে চাচ্ছেন। এমন কি সভাপতি পদেও নতুন কেউ আসতে চাইলে তাকে সমর্থন দিবেন তিনি। নতুনদের সুযোগ করে দিতে এবার নির্বাচনে নিজের কোন প্যানেলও দিবেন না পাপন।