এক পশলা বৃষ্টি নামলো মরুর বুকে, তৃষ্ণার্ত পথিক হাতে পেলো এক গ্লাস টলটলে জল – ম্যানচেস্টার সিটির অবস্থা এখন ঠিক এমন; একের পর এক ম্যাচ হারতে হারতে জয়ের স্বাদই ভুলে গিয়েছিল তাঁরা। পুরো এক মাস জিততে পারেনি দলটি, তবে এবার সেই ধারায় ছেদ পড়েছে। নটিংহ্যাম ফরেস্টকে হারিয়ে অবশেষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তাঁরা।
প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলের কাছে আগের ম্যাচে হেরে শিরোপার লড়াই থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে গিয়েছিল সিটিজেনরা। তবে কেভিন ডি ব্রুইনা একাদশে ফিরতেই জয়ের পথ খুঁজে পায় তাঁরা, তিনি নিজেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিলেন।
এদিন গোলের অপেক্ষায় বেশি সময় বসে থাকতে হয়নি স্বাগতিকদের, মিনিটের কাঁটা দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই তাঁর অ্যাসিস্ট থেকে দলকে এগিয়ে দেন বার্নান্দো সিলভা। এর মধ্য দিয়ে ২৯ ম্যাচের গোলখরা কাটালেন সিলভা, সবশেষ জানুয়ারিতে গোলের দেখা পেয়েছিলেন তিনি।
তবে অ্যাসিস্ট করেই তুষ্ট থাকেননি ডি ব্রুইনা, ৩১ মিনিটের সময় নিজেই খুঁজে নিয়েছেন জালের ঠিকানা। লেফট উইং থেকে ড্রিবলিং করে স্বদেশী জেরেমি ডকু যখন তাঁকে পাস বাড়িয়েছিলেন তখনো তিনি পোস্ট থেকে ১৫ গজ দূরে। কিন্তু তাতে কি, ওখান থেকেই দুর্দান্ত শটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন ডকু নিজেই, আর্লিং হাল্যান্ডের বাড়িয়ে দেয়া বল নিয়ে তিনি ঢুকে পড়েন ডি বক্সে। অতঃপর মাটি কামড়ানো শটে লিড তিনগুণ করেন।
এই তরুণের অবশ্য গোল প্রাপ্য ছিল, পুরো ম্যাচ জুড়ে তিনি যা করেছেন এরপর একটা গোল না পেলে অবিচার হতো। সর্বোচ্চ ছয়টা সফল ড্রিবল আছে তাঁর নামের পাশে, সর্বোচ্চ দশটা ডুয়েল জিতেছেন। এককথায় নটিংহ্যামের ডিফেন্ডারদের নাচিয়ে ছেড়েছেন।
এর মধ্য দিয়ে সাত ম্যাচ পর পরাজয়ের ধারাবাহিকতা শেষ হলো; যদিও পয়েন্ট টেবিলে এখনো চার নম্বরে পড়ে আছে ম্যানসিটি।