টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে – সমীকরণ যখন এতটাই কঠিন তখন লাইমলাইট দখলে নিলেন ওসমান ডেম্বেলে। একাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন তিনি, করেছেন হ্যাটট্রিক। তাঁর হ্যাটট্রিকে ভর করেই খাদের কিনারা থেকে ফিরে এসেছে পিএসজি, জায়গা করে নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফ রাউন্ডে।
অষ্টম রাউন্ড শুরু হওয়ার আগে বাদ পড়ার কাতারেই ছিল পিএসজি, তাই জয় ছাড়া যেকোনো ফলাফল তাঁদের ছিটকে ফেলতো এবারের আসর থেকে। কিন্তু সেটা হতে দেননি ফরাসি তারকা, সতেরো মিনিটের মাথায় স্কোরবোর্ডে নাম উঠে তাঁর। মিনিট বিশেক পরে একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, রাইট উইং দিয়ে কাটব্যাক করে ডানপায়ের শটে যে গোল দিয়েছেন সেটা চাইলে ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখা যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, হাকিমির সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া দেখিয়ে শেষমেশ জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ডেম্বেলে। তাতেই পূর্ণ হয় হ্যাটট্রিক, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে পিএসজির এটা স্রেফ পঞ্চম হ্যাটট্রিক আর তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়।
ওসমান ডেম্বেলে – ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে দামী অথচ ফ্লপ সাইনিংয়ের প্রসঙ্গ উঠলেই শোনা যায় তাঁর নাম। সেই চাপেই বার্সেলোনায় তাঁর জীবন হয়ে উঠেছিল বিভীষকাময়, তবে স্বদেশী ক্লাব পিএসজিতে গিয়ে বোধহয় প্রাণ ফিরে পেয়েছেন তিনি। অন্তত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁকে দাপট ছড়াতে দেখে সেটাই মনে হচ্ছে সমর্থকদের।
ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ডু অর ডাই ম্যাচেও এই উইঙ্গার ছিলেন উজ্জ্বল। অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর তিনিই ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে শেষ পাঁচ ম্যাচে আট গোল যোগ হয়েছে তাঁর ঝুলিতে – একেবারে আগুন ঝরানো ফর্ম যাকে বলে।
তারকা শূণ্য পিএসজির সবচেয়ে বড় তারকা এখন ডেম্বেলে। কিলিয়ান এমবাপ্পে, নেইমার জুনিয়ররা যা করতে পারেননি সেটা কি করতে পারবেন তিনি? সামর্থ্যের অভাব কোনদিনই ছিল না, কেবল মাঠে করে দেখানোর অপেক্ষা।