ধারাবাহিকতা – ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আজ যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁকে সেখানে পৌঁছে দিয়েছে অতিমানবীয় ধারাবাহিকতা। ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে দাঁড়িয়েও ধারাবাহিকতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি; আল নাসেরের হয়ে প্রতিটা ম্যাচেই বলতে গেলে গোল পাচ্ছেন, পারফরম করছেন। কে বলবে, দিন কয়েক পরেই চল্লিশের কোটায় চলে যাবেন রোনালদো?
সবশেষ আল ফাতেহ টের পেয়েছে এই ফরোয়ার্ডের উত্তাপ। এক গোলে পিছিয়ে থাকায় তাঁরা তখন সমতায় ফেরার লক্ষ্যে লড়াই করছিলো, সেসময় দারুণ একটা কাউন্টার অ্যাটাকের সুবাদে গোল পান তিনি, দলকে নিয়ে যান নিরাপদ স্থানে।
শুরুটা অবশ্য হয়েছিল পর্তুগালের জার্সিতে, গত বছরের ১৬ নভেম্বর পোল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমে দুই গোল করেছিলেন এই স্ট্রাইকার। সেই শুরু, এরপর কেবল গোল করে গিয়েছেন তিনি। সপ্তাহখানেক আগের আল তাইওয়ানের বিপক্ষে ম্যাচটা বাদ দিলে শেষ আট ম্যাচেই স্কোরবোর্ডে নাম উঠেছে তাঁর।
আর এই আট ম্যাচে পর্তুগিজ যুবরাজ পেয়েছেন বারো গোল; অর্থাৎ গড়ে প্রতি ম্যাচে ১.৫ বার জালের দেখা পাচ্ছেন তিনি। এমন দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে সৌদি প্রো লিগের পরিসংখ্যানেও, মাঝের সময়টাতে অনেক পিছিয়ে থাকলেও সেরা গোলদাতার তালিকায় এখন ঠিকই সবার আগে উঠে এসেছেন তিনি।
রোনালদোর চেয়ে বেশি প্রতিভাবান ফুটবলার আরো অনেকেই হয়তো এসেছে, তবে তাঁরা ধারাবাহিক হতে পারেনি। খেলাটার প্রতি ভালবাসা আর নিজের উপর প্রচন্ড বিশ্বাস তাঁকে প্রতিনিয়ত জ্বালানি সরবরাহ করেছে পুরনো রেকর্ড গুঁড়িয়ে নতুন কিছু করার। এমন ধারাবাহিকতার কল্যাণেই তিনি হয়ে উঠেছেন সর্বকালের সেরাদের একজন।
এই কিংবদন্তি এখনো ছুটছেন নতুন শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে, এক হাজার গোলের অবিশ্বাস্য একটা মাইলফলক তাড়া করছেন তিনি। এভাবে ছুটতে থাকলে অবশ্য এক হাজার গোলের চূড়ায় পা রাখা কঠিন কিছু নয় তাঁর জন্য।