টিম টিম করে জ্বলতে থাকা ঢাকা ডমিনেটর্সের প্রদীপে রংপুর রাইডার্সের দমকা হাওয়ার আঘাত। বেঁচে থাকার স্বপ্নটুকু বিলীন হয়ে যায় ঢাকার। প্লে-অফে যাওয়ার জন্যে ক্ষীণ সম্ভাবনার প্রথম শর্তই ছিল ম্যাচটি জেতা। তবে শেষ রক্ষে হয়নি নাসির হোসেনের দলের। তাঁদের বিপক্ষে দুই উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
ঢাকায় ফেরার পর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ। স্বাগতিক ঢাকার প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স। প্লে-অফে যাওয়ার রাস্তার খাদ ধরেই এগোচ্ছে দুই দল। দুই দলের জন্যেই ম্যাচটি ছিল বাঁচা মরার। এমন ম্যাচে রংপুর ব্যাটিংয়ের নিমন্ত্রণ দেয় ঢাকাকে। তবে ব্যাট করতে নেমেই বিপদে পড়ে যায় ঢাকা ডমিনেটর্স। দলীয় ১১ রানের মাথায় তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তাঁরা। রান আউট ছাড়া দুইটি উইকেটই নিজের করে নেন আফগান বোলার আজমাতুল্লাহ ওমরজাই।
তবে শামীম হোসেন পাটোয়ারির করা দুর্দান্ত রানআউটটাই বদলে দেয় রংপুরের সমস্ত মানসিকতা। অদম্য মানসিক দৃঢ়তার সঞ্চার ঘটে গোটা দলের মাঝে। এরপর রংপুরের বোলারররা বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে রাখে ঢাকাকে। ছোট ছোট জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অ্যালেক্স ব্লেক, আরিফুল হকরা। ধাক্কা সামাল দেওয়া গেলেও রানের গতি বাড়েনি। স্লথ গতিতে নিজেদের সংগ্রহ বাড়ানোর কাজটি করতে থাকে ঢাকা।
শেষ অবধি আট উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানের স্বল্প পুঁজি পায় ঢাকা ডমিনেটর্সর। সেটুকু নিয়েই লড়াই করবার মত মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামে শরিফুল ইসলামরা। আর ইতিবাচকতার ফলাফল পেয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগেনি। শুরুতেই শরিফুলের জোড়া আঘাতে খানিকটা দিকভ্রষ্ট রংপুর রাইডার্স। আর ঠিক তখনই দক্ষ নাবিক হয়ে নুরুল হাসান সোহানের আগমন।
শুরুর বিপর্যয় সামাল দিলেন শক্ত হাতে। বহুদিন বাদে ব্যাটে রান পেলেন সোহান। তুলে নেন অর্ধশতক। সোহান-রনির জুটির উপর ভর করে দ্রুতই জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে রংপুর রাইডার্স। ১০২ রানের মাথায় রনি তালুকদার আউট হয়ে যাওয়ার পর রীতিমত তাসের ঘরে পরিণত হয় রংপুর। একের পর এক ব্যাটার বাইশ গজে এসেছেন আর প্যাভিলনে ফিরে গেছেন।
রংপুরের জন্যে জয় তখন মরীচিকা মনে হতে থাকে। অন্যদিকে জয়ের আশায় আবারও বুক বাঁধতে শুরু করে ঢাকা ডমিনেটর্স। সেটা আরও বেড়ে যায় ১৯ তম ওভারে নাসির হোসেন পর পর দুইটি উইকেট তুলে নিলে। খেলা গড়ায় শেষ ওভারে। অন্তিম ওভারের স্নায়ুযুদ্ধে জিতে যায় রংপুর রাইডার্স। এই জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলে নরুল হাসান সোহানের দল।