এক যুগ পর এক ফ্রেমে যোগিন্দর-ধোনি

যোগিন্দর শর্মার কথা মনে আছে? মহেন্দ্র সিং ধোনি অবিশ্বাস্য এক বাজি ধরেছিলেন তাঁকে নিয়ে; কোটি কোটি মানুষের স্বপ্ন তুলে দিয়েছিলেন তাঁর কাঁধের ওপর। সেই কাঁধ জোড়া বেঈমানি করেনি; অধিনায়কের বিশ্বাস রেখেছেন তিনি, প্রতিদান দিয়েছেন দেশবাসীর। ২০০৭ সালে মহাকাব্য লেখা দু’জনের অবশ্য দীর্ঘদিন দেখা হয়নি, তবে সেই অপেক্ষা ভেঙেছে এবার।

হুট করেই যোগিন্দর নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে ক্যাপ্টেন কুলের সঙ্গে তোলা ছবি প্রকাশ করেন। আর ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে বলিউডের একটি গান যোগ করেন তিনি, যার বাংলা অর্থ অনেকটা এমন ‘ওহে বন্ধু শোনো, তোমার বন্ধুত্ব আমার কাছে প্রাণের চেয়ে দামী’। – সেই সাথে ক্যাপশনে লিখেন, ‘অনেকদিন পর মাহীর সাথে দেখা হওয়াটা চমৎকার ছিল। বারো বছর পর তোমার সাথে দেখা হওয়ার মজাই আলাদা।’

দ্রুতই তাঁর এমন পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়; সেই পুরনো দিনের নায়কদের পুনর্মিলন দেখে নস্টালজিয়ায় ভোগেন প্রায় সবাই। সেই সাথে তাঁদের মধ্যকার বন্ধন স্পষ্ট হয়ে ওঠে, সতীর্থ পরিচয় ছাপিয়ে তাঁরা যে আরো অনেক দৃঢ় আত্মার বাঁধন গড়েছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রত্যাশার আকাশসম চাপ, স্ট্রাইকে সেট ব্যাটার মিসবাহ উল হক – এই পেসার ভারতের তরী তীরে তুলতে পারবেন সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কম ছিল ঐতিহাসিক সেই ফাইনালে। সমর্থকরাও বোধহয় ভরসা করতে পারেনি; যারা আস্থা রেখেছিলেন। তাঁরাও অবশ্য আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কেননা এক ওয়াইড আর এক ছয়ে দুই বলেই সাত রান দিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

কিন্তু ভাগ্যে অন্য কিছু লেখা ছিল বোধহয়, পরের বলে স্কূপ করতে গিয়ে শ্রীশান্তের হাতে ধরা পড়েন মিসবাহ। মুহূর্তের মাঝেই নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন যোগিন্দর।

ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো এই বোলার এখন পুলিশ হিসেবে কর্মরত। দেশ ও নাগরিকদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি; অন্যদিকে, ধোনি এখনো মাঠেই আছে, ব্যাট বলের সঙ্গে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link