সাকিবদের আচরণ ‘মানহানিকর’, ক্ষোভে ফুঁসছেন ম্যাথুস

টাইমড আউট নিয়ে চলছে বিতর্কের আগুন। আর সেই আগুনের তাপের মাঝেই সাকিব জানিয়ে দিলেন, নিয়ম বহির্ভূত কিছু না করলে এমন আউট নিয়ে তাঁর বিন্দুমাত্র অনুতাপ নেই।

উল্টো চিত্র লঙ্কান শিবিরে। ম্যাচের হার ছাপিয়ে ‘টাইমড আউট’-ই যেন হয়ে উঠেছে মূল অনুষঙ্গ। আর তাতে এবার সাকিব ও বাংলাদেশের রীতিমত ক্ষোভই ঝাড়লেন টাইমড আউটের শিকার হওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।

ম্যাচশেষে সাকিব গিয়েছিলেন পুরষ্কার বিতরণীর মঞ্চে। আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ছুটেছিলেন প্রেস বক্সে। ম্যাচ হারের হতাশা তো ছিলই, তবে সেটি ছাপিয়ে এমন বিরল আউটের ঘটনাটাই বেশি নাড়া দিয়েছে ম্যাথুসের মনে। আর সেটার ছাপ রাখলেন তিনি সংবাদ সম্মেলনেও। শুরুতে এসেই জানালেন, সাকিব আর বাংলাদেশ যেটা করেছে, সেটা অসম্মানজনক।

এমন আউটের আপিল করাটাই যে বোধহীনতার পরিচয়, সেটি জানিয়ে ম্যাথুস বলেন, ‘আমার হাতে আরো ৫ সেকেন্ড সময় ছিল। পুরো ফুটেজ আছে। সেটা আমরা পরে সাবমিটও করবো। মানকাডিং আউট কিংবা  অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড নিয়ে বলছি না। যেটা নিয়মে আছে, সেটি নিয়ে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু এমনটা একটা আউটের আপিল করা- এমন নিম্নতম আচরণ আমার ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে দেখিনি। আমি খুবই মর্মাহত।’

ম্যাচ শেষে দুই দলের হাত মেলানো আইসিসির নিয়মেরই অংশ। কিন্তু শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা এ দিন বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সৌহার্দ্য বিনিময় করেই স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যায়।  অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের কন্ঠে টাইমড আউট নিয়ে যখন ক্ষোভের সুর, তখন নিজ খেলোয়াড়দের এহেন আচরণে তাঁর বক্তব্য কী?

এক সাংবাদিকের করা এমন প্রশ্নে লঙ্কান এ ক্রিকেটার দায়টা দিয়েছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের উপরেই। মানে, কোনটা ক্রিকেটের স্পিরিটের বিরুদ্ধে যায় – সেটাই বুঝতে পারছেন না ম্যাথুস।

তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ। অবশ্যই আপনাকে প্রতিপক্ষের উপর সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। তবে তার আগে প্রতিপক্ষ থেকেও সেই সম্মানটা আসা উচিৎ। আমরা সবাই ক্রিকেটের অ্যাম্বাসেডর। এখন কোনো দল যদি আমাদের সম্মান না দেয়, বোধ লোপ পায়, তাহলে আমাদের কী করা উচিৎ? আপনি নিজেকে জিজ্ঞেস করলেই উত্তর পাবেন।’

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link