মরুর বুকে ‘ভিনটেজ’ সাকিবের এক পসলা স্বস্তি

সাকিব আল হাসান নামক এক নিখুঁত কারিগরের হাতে গড়া মন জুড়ানো দৃশ্যপট। এ যেন ভিনটেজ সাকিব! 

একটা ফ্লাইটেড আর্মার। ব্যাটার অফ ড্রাইভ করতে গিয়ে পরাস্ত। উইকেটরক্ষক দ্রুততার সাথে করলেন স্ট্যাম্পিং। সাকিব আল হাসান নামক এক নিখুঁত কারিগরের হাতে গড়া মন জুড়ানো দৃশ্যপট। এ যেন ভিনটেজ সাকিব!

আইএল টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম উইকেটের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু সকল চাওয়া-পাওয়া পূরণ হয়না, একদিন দূর্দান্ত কিছু ঘটবে বলে। সেই দারুণ দিনটা এলো ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে। ভাইপার্সের ওপেনারর ফখর জামান দেখলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের পুরনো সেই সামর্থ্যের ঝলক।

বাতাস দেওয়া বলটায় ব্যালেন্স বিগড়ে যায় ফখরের। ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে যান তিনি। এরপর ফখর জমা পড়েন সাকিবের পকেটে। এদিন শুধু এই একটি উইকেট প্রাপ্তিতেই থেমে থাকেননি সাকিব আল হাসান। ভাইপার্স অধিনায়ক স্যাম কারানকে নিজ প্রযোজনা ও পরিচালনায় সাজঘরে পাঠান সাকিব।

ব্যাক অফ লেন্থের স্লোয়ার ডেলিভারিতে জাদুকর সাকিবের সেই বাতাসের সাথে খেলা। ব্যস, বল পড়তে ভুল করলেন কারান। সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়েই ফেরেন তিনি। এমআই এমিরেটসের জার্সিতে এদিন সাকিব ছিলেন একেবারে নিজের হারিয়ে ফেলা সত্ত্বার জলজ্যান্ত রুপ। বল হাতে স্বর্ণালী দিনগুলো যেন আবারও ফিরিয়ে আনলেন সাকিব আল হাসান।

চার ওভারে বল করে খরচ করেছেন মাত্র ১৪ রান। অথচ এই টুর্নামেন্টে দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েও তিনি ছিলেন উইকেট শূন্য। একবার ব্যাট করতে নেমে তাকে উঠে যেতে হয়ছিল পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করতে না পারার দায় মাথায় নিয়ে। তবে ভাইপার্সের বিপক্ষে তাকে আর উঠে যেতে হয়নি। বরং উইনিং শটে বাউন্ডারি এসেছে তারই ব্যাট থেকে।

একটা শর্টপিচ বলে পুল শটে, মিড উইকেট দিয়ে চার হাঁকান সাকিব। তাতেই নিশ্চিত হয় এমআই এমিরেটসের ৪ উইকেটের জয়। এদিন সাকিব ২৫ বলে ১৭ রান নিয়ে অপরাজিত থেকেছেন। উইকেটের চরিত্র, আর পরিস্থিতি চাহিদা মেনেই ব্যাটিংটা করেছেন। এমন দিনে আনন্দের সাথে সমানুপাতিক হারে বাড়ে আক্ষেপ।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link