টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। স্বাগতিক দেশ হিসেবে এবার যৌথভাবে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজেদের মাটিতে দ্বিতীয় বারের মতো এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে ক্যারিবিয়ানরা। ২০১০ সালে প্রথমবার নিজেদের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় আসর আয়োজন করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল ইংল্যান্ড।
২০১০ থেকে ২০২৪, মাঝে কেটে গেছে ১৪ টি বছর। অনেক খেলোয়াড় আছেন যাদের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও এতো দীর্ঘ হয় না। তবে অনেকে আছেন যারা ২০১০ ক্যারিবীয় বিশ্বকাপে নিজ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং এবারও খেলার জন্য প্রস্তুত। এমনই ১১ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে চাইলে একটা একটা শক্তিশালী একাদশও বানিয়ে ফেলা যায়।
উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে দলে রয়েছেন রোহিত শর্মা ও পল স্টার্লিং। ২০১০ বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা দলে নিয়মিত না হলেও এবার ভারতের অধিনায়ক তিনি। অন্যদিকে, স্টার্লিং আয়ারল্যান্ডের হয়ে উদ্বোধন করছেন দীর্ঘদিন থেকে। দলে তিন নম্বরে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে উদ্বোধন করলেও দলের প্রয়োজনে যে কোনো অবস্থানে ব্যাট করতে পারেন তিনি।
চার ও পাঁচ নম্বরে রয়েছেন যথাক্রমে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক ম্যাথুস চোটের কারণে মাঝে মাঠের বাহিরে থাকলেও এবার তিনি রয়েছেন দলে । অন্যদিকে, দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় সাকিব। যিনি বাংলাদেশের হয়ে নয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। সাকিবের সতীর্থ মাহমুদউল্লাহ আছেন ছয় নম্বরে। বর্তমানে ফিনিশার হিসেবে নিজের কাজ বেশ ভালই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সাতে রয়েছেন লম্বা সময় ধরে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করা আফগান আলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি। এরপর আছেন ভারতের বোলিং অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। আইরিশ স্পিনার জর্জ ডকরেলও ক্যারিবীয় অঞ্চলে অনুষ্ঠিত দুই বিশ্বকাপেই দলে রয়েছেন। পেসারদের মধ্যে কিউই পেসার টিম সাউদি ও পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির রয়েছেন যারা ২০১০ ক্যারিবীয় বিশ্বকাপের পর এবারও নিজ নিজ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
- ক্যারিবিয়ানে দুই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলাদের সেরা একাদশ: রোহিত শর্মা, পল স্টার্লিং, ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ নবি, রবীন্দ্র জাদেজা, জর্জ ডকরেল, টিম সাউদি, মোহাম্মদ আমির।