রিয়ালে বেড়ে উঠতে সময় দরকার এন্ড্রিকের

১৮ বছর বয়সী এন্ড্রিক ইউরোপিয়ান মঞ্চে এক দুর্দান্ত গোলের মাধ্যমে নিজের সক্ষমতার জানান দেন। মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি তার সম্পর্কে বলেছেন 'ছেলের সাহস আছে বটে'।

প্রতিপক্ষের কর্ণার থেকে বল জিতে নিয়ে পুরো মাঠ একাই বলটি এগিয়ে নিয়ে গেলেন। ২০ গজ দূর থেকে শট নিয়ে গোল করলেন একজন তরুণ। বিষয়টি দারুণ না? একজন ফুটবলারের জন্য এমন গোল করাটা বেশ গর্বেরই বলা যায়। আর তা যদি হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো একটি বড় মঞ্চে তাহলে তো কথাই নেই। হ্যাঁ, এই দুর্দান্ত গোলটি করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ এন্ড্রিক।

১৮ বছর বয়সী এন্ড্রিক ইউরোপিয়ান মঞ্চে এক দুর্দান্ত গোলের মাধ্যমে নিজের সক্ষমতার জানান দেন। মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি তার সম্পর্কে বলেছেন ‘ছেলের সাহস আছে বটে’। গোলটি করার সময় তার একপাশে দৌড়াচ্ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং অন্য পাশে ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তবে তিনি কাউকে বল না দিয়ে একাই গোলটি করেছেন। এতেই তার সাহস এবং আত্মবিশ্বাসের নমুনা পাওয়া যায়।

২১ জুলাই ২০০৬ সালে ব্রাজিলে জন্মগ্রহণ করেন এন্ড্রিক। তার ক্যারিয়ার শুরু হয় ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসের হাত ধরে। পালমেইরাসে দুর্দান্ত খেলার মাধ্যমে তিনি সকল ইউরোপিয়ান ক্লাব গুলোর নজরে এসেছেন। সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদ তাকে ৬০ মিলিয়নের বিনিময়ে দলে টানেন। বোঝাই যাচ্ছে যে তিনি কতটা প্রতিভাবান। না হলে কি রিয়াল মাদ্রিদের মতো দল একজন ১৮ বছর বয়সী তরুণের জন্য এতো টাকা খরচ করে?

রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর এন্ড্রিক তেমন একটা খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। রিয়াল মাদ্রিদের বর্তমান গালাক্টিকো দলে এন্ড্রিকের সুযোগ পাওয়ার কথাও না। যেখানে এমবাপ্পে, ভিনিসিয়াস, রদ্রিগো, জুড বেলিংহামের মতো খেলোয়াড়রা রয়েছে সেখানে এন্ড্রিকের দলে জায়গা পাওয়া বেশ কঠিন।

এন্ড্রিকের মাদ্রিদ দলে পাকা-পোক্ত হওয়ার জন্য কিছুটা সময় দরকার। তার প্রতিভা এবং খেলার ধরণে রিয়াল মাদ্রিদের সকলেই বেশ খুশি। তবে তাকে বেড়ে ওঠার জন্য সময় দিতে হবে। তার বয়স সবেমাত্র ১৮। এই বয়সী একজন খেলোয়াড়ের উপর এতো চাপ প্রয়োগ করা উচিত হবে না।

কার্লো আনচেলত্তি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন যে এন্ড্রিককে কিভাবে কাজে লাগাতে হবে। তাই তাকে বেশ সহনশীল এবং যত্নের সহকারে মূল দলের সাথে রেখে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছেন আনচেলত্তি। মাদ্রিদের খেলার সাথে তাল মিলিয়ে খেলতে হলে তাকে আরো অভিজ্ঞ হতে হবে।

এন্ড্রিকের ভবিষ্যৎ সত্যিই উজ্জ্বল বলেই মনে হচ্ছে। তার প্রতিভা, আত্মবিশ্বাস এবং কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা তাকে শীর্ষে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তরুণ এই ফুটবলার ইতোমধ্যেই দেখিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি বড় মঞ্চে নিজের ছাপ রাখতে সক্ষম।

যদিও রিয়াল মাদ্রিদের মতো বিশাল দলে নিজের জায়গা পাকা করা সহজ নয়, তবে ধৈর্য এবং ধারাবাহিক উন্নতির মাধ্যমে এন্ড্রিক একদিন ক্লাবটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হবেন বলে আশা করা যায়। ভিনিসিয়াস জুনিয়র বা রদ্রিগোর মতো, তিনিও একসময় দলের নেতৃত্বের মুখ হয়ে উঠতে পারেন।

এন্ড্রিকের গল্পটি হতে পারে প্রতিভার পাশাপাশি সঠিক দিকনির্দেশনা এবং সুযোগ পেলে কতদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, তার প্রমাণ। সামনের দিনে তার পারফরম্যান্স কেবল মাদ্রিদের নয়, গোটা ফুটবল দুনিয়ার মন জয় করবে। হয়ত একদিন তাকে কেন্দ্র করেই হবে মাদ্রিদের আরেকটি নতুন গ্যালাক্টিকো যুগের সূচনার মূলমন্ত্র।

Share via
Copy link