লক্ষ্যটা যখন ১০০–এর নিচে চলে আসলো, একটা আশা আবার উঁকি দিয়ে উঠল ইংল্যান্ড শিবিরে। তবে কি এ যাত্রায় ম্যাচটাকে বাঁচিয়ে নেওয়া সম্ভব? হাতে তখনও তিন উইকেট।
অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ছিল পাহাড়সম ৪৩৫ রান। বেন স্টোকসের দল সেই লক্ষ্য কার্যত ‘অসম্ভব’ বানিয়ে ফেলে চতুর্থ দিনেই। ৬৩ ওভার ব্যাট করে ২০৭ রান তুলতেই পড়ে যায় ৬ উইকেট। পঞ্চম দিনের শুরুতে হাতে ছিল মাত্র চার উইকেট, আর সামনে ইতিহাসের কঠিনতম এক পাহাড়।

পঞ্চম দিনে ২২৮ রানের বাঁধা টপকাতে হলো ইংল্যান্ডকে। উইল জ্যাকসের কাঁধে গুরুদায়িত্ব, সঙ্গী হলেন জেমি স্মিথ। ৯১ রানের জুটি গড়ে আশাটা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তখনও। তবে মুহূর্তেই সব থেমে গেল। স্মিথ ফিরে গেলেন ৬০ রান করে।
তবে স্বস্তির বিষয়, জ্যাকস তখনও উইকেটে দাঁড়িয়ে। কিন্তু মিচেল স্টার্কের শিকার হয়ে ৪৭ রান করে ফিরতে হলো তাঁকেও। তিন ঘণ্টার প্রতিরোধ, এক লহমায় ছিন্নভিন্ন। এরপর আর বেশিক্ষণ অজিদের দাপট সামলাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৩৫২ রানে অলআউট করে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে টানা তৃতীয় টেস্ট। ফলে সিরিজের ফল দাঁড়াল ৩-০।

মর্যাদার লড়াইয়ে কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। শুরুর টেস্ট থেকে একেবারেই ছন্নছাড়া ছিল তারা। অজিদের সামনে কেবলই অসহায় হওয়া ছাড়া কোনো পথই যেন ছিল না তাদের। এবার সামনে আরও দুই টেস্ট। অন্তত হোয়াইটওয়াশের লজ্জাটা এড়াতে চাইবে নিশ্চয়ই ইংলিশরা।











