২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক তিনি। লর্ডসের মাটিতে তাঁর ৯৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংসের উপর ভর করেই তো ইংলিশরা লিখেছিল এক রুপকথা। কিন্তু আগের বারের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ককে এবারের বিশ্বকাপের মঞ্চেই দেখা যাবে না।
কারণটা বেন স্টোকসের একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর কথন যে লেখা হয়ে গিয়েছে গত বছরেই। গত বছরের জুলাইয়ে শারীরিক ও মানসিক চাপ কমাতে হুট করেই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দেন ইংল্যান্ডের লাল বলের অধিনায়ক।
অবশ্য এরপর থেকে গুঞ্জনও হয়েছে অনেক। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালে বিশ্বকাপ ঠিকই খেলবেন, এমনটার পক্ষে জনমত ছিল অনেক। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া অ্যাশেজের পর সেই সম্ভাবনাকে এক প্রকার উড়িয়েই দেন স্বয়ং স্টোকস।
কিন্তু সর্বশেষ খবর বলছে, স্টোকসকে বিশ্বকাপে পেতে রীতিমত মরিয়া হয়ে উঠেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আর সেই লক্ষ্যে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক জশ বাটলার নাকি স্টোকসের সাথে আলোচনায় বসতেও রাজি। এমনটাই জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের কোচ ম্যাথু মট।
এ নিয়ে ম্যাথু মট বলেন, ‘বাটলার সম্ভবত এটা নিয়ে স্টোকসের সাথে কথা বলবে। তবে স্টোকসের আগ্রহ থাকাটাও জরুরি। এ ব্যাপারে ঠিক আমরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিন্ত নই। তবে আমরা আশাবাদী। আমি সব সময় বলে এসেছি, মাঠে তাঁর উপস্থিতি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। সে ব্যাটিংয়ে কী করতে পারে, তা আমরা জানি। বোলিংটা বোনাস। আর ফিল্ডিংয়ে তো সে দুর্দান্ত। অ্যাশেজে সে ধারাবাহিক পারফর্ম করেছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে কিন্তু সে সব সময়ই ধারাবাহিক ছিল। তাই তাঁর উপস্থিতিটা বিশ্বকাপে দরকার।’
যদিও ম্যাথু মটের এমন আশার পালে হাওয়া লাগবে কিনা, তা সময়ই বলে দিবে। কারণ অ্যাশেজ শেষে বেন স্টোকস বিশ্বকাপের ছুটি কাটানোর ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। একই সাথে, লম্বা সময় ধরে ভুগতে থাকা হাঁটুর চোটের স্থায়ী সমাধান করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বাটলারের অনুরোধ শেষ পর্যন্ত স্টোকস ফেলতে পারবেন কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।
মজার ব্যাপার হলো, এই অনুরোধ করেই মঈন আলীকে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরিয়েছিলেন স্টোকস। অ্যাশেজের আগে ইংল্যান্ডের স্পিনার জ্যাক লিচ ইনজুরিতে পড়ায় মঈনকে হোয়াটসঅ্যাপে লাল বলের ক্রিকেটে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছিলেন স্টোকস।
মঈন ফিরেছিলেন। ২-২ এ শেষ হওয়া সিরিজে পারফর্মও করেছিলেন। তবে অ্যাশেজ শেষেই আবার লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানান এ ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড দলও হয়তো চাইবে, অন্তত বিশ্বকাপের জন্য হলেও ফিরে আসুক স্টোকস।