ফজল হক মানেই ব্যাটারদের ত্রাস

খালি চোখে তিনি বাংলাদেশের ভক্তদের পছন্দের পাত্র নন। কারণ, দেশের সেরা ওপেনার তাঁর বোলিংয়ে বারংবার উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। আসলে কেবল, তামিম ইকবাল নন। বিশ্বের যে কোনো টপ অর্ডারের জন্যই এখন ভয়ের কারণ এই ফজল হক ফারুকি।

খালি চোখে তিনি বাংলাদেশের ভক্তদের পছন্দের পাত্র নন। কারণ, দেশের সেরা ওপেনার তাঁর বোলিংয়ে বারংবার উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। আসলে কেবল, তামিম ইকবাল নন। বিশ্বের যে কোনো টপ অর্ডারের জন্যই এখন ভয়ের কারণ এই ফজল হক ফারুকি।

আর সামনে যখন উগান্ডার মত নবাগত দল, যখন ফজল হক ফারুকি যে আরও প্রতাপশালী হবেন তা তো বলাই বাহুল্য, হলেনও তাই। আর সেই আগুনেই পুড়ে ছাই হল বিশ্বকাপ আসরে উগান্ডার অভিষেক ম্যাচ।

অথচ, প্রথমটা নিতান্তই সাদামাটা ছিল ফারুকির। প্রতিপক্ষকে ১৮৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে দলের বোলিং উদ্বোধন করতে নেমেই হজম করেন চার। অফ স্ট্যাম্পের ওপর পিচড আপ ডেলিভারি থেকে কভার ড্রাইভ করতে কোনো বেগ পোহাতে হয়নি রোনাক প্যাটেলকে।

কিন্তু, নামটা তো ফারুকি। তিনি জ্বলে উঠবেনই। তিনি আক্রমণের জবাব দিতে জানেন পাল্টা আক্রমণ দিয়ে। আর হলও তাই! ঠিক পরবর্তী ডেলিভারিতেই ফারুকী হয়ে উঠলেন ভীতিকর। পরপর দুই বলে বোল্ড আর এলবিডব্লিউ।

প্রথম তিন বলের মধ্যেই দুই উইকেট নেই উগান্ডার। দলটির ব্যাটিং মেরুদণ্ড সেই যে ভাঙল আর মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারল না। উগান্ডার রান তাড়া করে জয়ের স্বপ্ন কার্যত সেখানেই শেষ।

এটাই ফারুকির স্পেশালিটি, টি-টোয়েন্টির নতুন বলে তিনি এখন বিশ্বেরই অন্যতম সেরা বোলার। প্রতিপক্ষের টপ অর্ডারে ধস নামানোয় ইদানিং তাঁর জুড়ি মেলা কঠিন।

শুধু টপ অর্ডার নয়, ফারুকি যখন উইকেট নিয়েছেন জোড়ায় জোড়ায়ই নিয়েছেন। ১৩ তম ওভারের প্রথম ‍দুই বলে আঘাত হানার পর উইকেট পেয়েছেন আবার শেষ ডেলিভারিতে। মাত্র তিন ওভারেই সাত রান দিয়ে ফাইফার পূরণ করেন তিনি। শেষ ওভারে গুনেন মাত্র দুই রান।

প্রথম বলেই চার হজম করা ফারুকি চার ওভারের স্পেল শেষ করেন পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র নয় রান হজম করে। মানে, বাকি ২৩ টা ডেলিভারিতে তিনি রান দিয়েছে মাত্র পাঁচটি!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...