ডেওয়াল্ড ব্রেভিস এলেন, দেখলেন জয় করলেন। বুলাওয়ায়োতে অভিষেক টেস্টে রীতিমতো ঝড় তুললেন। জানান দিলেন টেস্ট হোক কিংবা টি-টোয়েন্টি, বাজে বলটা অবস্থান হওয়া উচিত সীমানার বাইরে।
যখন ব্যাট হাতে এলেন, দলের অবস্থা তখন শোচনীয়। মাত্র ৫৫ রানে দলটি হারিয়েছে টপ অর্ডারের চার উইকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাই তো একটা বাড়তি চাপ কাজ করছিলো দলের মধ্যে।
গুটি গুটি পায়ে ব্রেভিস ক্রিজে আসলেন, মাঠের চারপাশটা একটু দেখেও নিলেন। একে তো অভিষেক ম্যাচ, তার উপর দলের হাল ধরতে হবে তাকে। সবার নজর তাই তো ব্রেভিসের দিকে, সেটাও একটা বাড়তি চাপ।
তবে ব্রেভিস কোনও কিছুর পরোয়া করলেন না। খেলতে লাগলেন নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে। আত্মবিশ্বাসী সব শটে রানের গতি বাড়িয়ে দিলেন। বোলারের একেকটা বাজে বল গিয়ে পড়লো গ্যালারিতে।
অভিষেক ম্যাচেই তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটি, তাও আবার মাত্র ৩৮ বল খেলে। আউট হওয়ার আগে করেছেন ৫১ রান। সবচেয়ে বড় ব্যাপারটা তাঁর ১২৪-এর উপর থাকা স্ট্রাইক রেট। হাঁকিয়েছেন চারটি ছয় এবং তিনটি চার। যেন একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ইনিংস।
ব্রেভিসকে নিয়ে একটু বেশিই আলোচনা হয় ক্রিকেটপাড়ায়। হবে নাই বা কেন, তাঁর ব্যাটিং স্টাইলে যে কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্সের একটা ছাপ রয়েছে। তাঁকে আইডল হিসেবেও মানেন ব্রেভিস। আর অনেকটা এবির মতোই আচরণ আছে তাঁর ব্যাটে।
চাপের মুখে এলেন, দলের হাল ধরলেন, নিজের অভিষেকে খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। ৫১ রানের ছোট্ট ইনিংস খেলে হয়তো ভবিষ্যতের জন্য নিজের নামটা সবাইকে মনে রাখতে বললেন।