খেলার সাথী, ঝগড়ারও সাথী!

ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রায়ই বিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের একে অপরকে স্লেজিং করতে দেখা যায়। কিংবা খুব উত্তেজনাপূর্ন কোনো মুহুর্তে কখনো কখনো ক্রিকেটারদের গালিগালাজ কিংবা হাতাহাতি করতেও দেখা যায়। তবে এই দৃশ্য ক্রিকেট মাঠে খুব একটা দেখা যায় না।

ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। তবে ক্রিকেটাররাও তো রক্ত-মাংসেরই মানুষ।

মাঠে নানা সময়েই অনেক ক্রিকেটার তাঁদের মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। এছাড়া ক্রিকেটে স্লেজিং খুবই নিয়মিত এক ঘটনা। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রায়ই বিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের একে অপরকে স্লেজিং করতে দেখা যায়। কিংবা খুব উত্তেজনাপূর্ন কোনো মুহুর্তে কখনো কখনো ক্রিকেটারদের গালিগালাজ কিংবা হাতাহাতি করতেও দেখা যায়। তবে এই দৃশ্য ক্রিকেট মাঠে খুব একটা দেখা যায় না।

তবে ক্রিকেট মাঠে একই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে এমন বাকবিতণ্ডা এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। তবে ক্রিকেট মাঠে এমন কিছু মুহূর্ত আছে যেখানে একই দলের দুজন ক্রিকেটার একে অপরকে গালাগালি কিংবা হাতাহাতি করেছেন। ক্রিকেটের এমন বিরল কয়েকটি ঘটনা নিয়ে আজকের তালিকা।

  • শোয়েব আখতার ও ইয়াসির হামিদ (পাকিস্তান)

বিখ্যাত-কুখ্যাত সব স্লেজিংয়ের জন্য পাকিস্তান এমনিতেই বেশ আলোচিত। বিপক্ষে দলের ক্রিকেটারদের সবসময় তাঁতিয়ে রাখতে ওস্তাদ দলটি। তবে পাকিস্তানের দুই পেসার শোয়েব আখতার ও ইয়াসির হামিদও নিজেদের মধ্যেই একবার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ২০০৭ সালে কলকাতায় ভারত-পাকিস্তানের এক টেস্ট ম্যাচে কোনো পরিষ্কার কারণ ছাড়াই হামিদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান শোয়েব। হামিদকে গালাগালিও করেন তিনি। পরে পাকিস্তানের সহ অধিনায়ক ইউনুস খান এসে তাঁদের থামান।

  • মোহাম্মদ আমির ও আজহার আলী (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির ও আজহার আলীও একবার নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচে এই কাণ্ড করেন পাকিস্তানের এই দুই ক্রিকেটার। ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তান আগে ব্যাট করে করেছিল ৩৩৮ রান। পরে ভারত ব্যাট করতে নামলে আমিরের বলে কোহলির ক্যাচ মিস করেন আজহার আলি। গুরুত্ত্বপূর্ন ম্যাচে ক্যাচ ফেলে দেয়ার জন্য আজহার আলিকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন তিনি।

  • হরভজন সিং ও আম্বাতি রাইডু (ভারত)

ভারতের দুই ক্রিকেটার হরভজন সিং ও আম্বাতি রাইডু আইপিএলের এক ম্যাচে নিজেদের মেজাজ হারিয়েছিলেন। দুজনই খেলছিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে। হরভজন সিং এর এক বলে বাউন্ডারিতে ভালো ইফোর্ট দেয়ার পরেও বাউন্ডারি আটকাতে পারেননি রাইডু। ফলে হরভজন রাইডুকে কিছু বললে দুজনই উত্ত্বেজিত হয়ে একে অপরের দিকে এগিয়ে যায়। পরে অবশ্য হরভজনই নিজের ভুল বুঝতে পারেন।

  • সুরেশ রায়না ও রবীন্দ্র জাদেজা (ভারত)

২০১৩ সালে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের এক ম্যাচে এই দুই ক্রিকেটার নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। জাদেজার বোলে বেশ উঁচু একটি ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হয়েছিলেন রায়না। ফলে রায়নার উপর খানিকটা রেগে গিয়েছিলেন জাদেজা। পরে একজন আরেকজনের দিকে তেড়ে যান। পরবর্তীতে বিরাট কোহলির গিয়ে তাঁদের দুজনকে থামান। অবশ্য ম্যাচের পর দুজনই নিজেদের ভুল বুঝাবুঝি ঠিক করে নেন।

  • ইশান্ত শর্মা ও রবীন্দ্র জাদেজা (ভারত)

২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক টেস্ট মাচে জাদেজা ও ইশান্ত মাঠের মধ্যে নিজের ঝগড়া করেন। তাঁদের উত্তেজিত হবার কারণ পরিষ্কার না হলেও মনে হচ্ছিল জাদেজার ফিল্ডিং পজিশন নিয়ে খুশি ছিলেন না ইশান্ত। দুজনই দুজনের দিকে আঙুল তুলে কী যেনো বলছিলেন। পরে দলের অন্য ক্রিকেটাররা তাঁদের মধ্যে সমোঝতা করে দেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...