ফ্র্যাঞ্চাইজির দুনিয়ার ‘মিস্টার ফ্রিল্যান্সার’

ফুটবলের মত ক্রিকেটে ক্লাবের প্রভাব খুব বেশি নেই। তবে অর্থের ঝনঝনানি আর বিনোদন প্রদানের কল্যাণে ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আলাদা জায়গা করে নিয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনে। এখন তো অনেক ক্রিকেটারের কাছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চেয়ে বেশি প্রিয় এসব আলো ঝলমলে লিগ।

আবার এমন ক্রিকেটারও আছেন যারা টি-টোয়েন্টি লিগে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ঠিকই, তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি – তাঁদের নিয়েই খেলা-৭১ এর আজকের আয়োজন।

  • ব্র্যাড হজ (অস্ট্রেলিয়া)

দারুণ প্রতিভা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল ব্র্যাড হজের। কিন্তু ক্যারিয়ার জুড়ে প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। অথচ একই সময়ে লিগ ক্রিকেটে অসামান্য পারফরম্যান্স করেছেন এই ব্যাটার।

পরিসংখ্যানও একই কথা বলে, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২৬ গড়ে ব্যাট করলেও আইপিএলে তাঁর গড় ৩৩ এর বেশি। সত্যি বলতে, ঘরোয়া ক্রিকেটে হজের পারফরম্যান্স যতটা উজ্জ্বল ততটাই ম্লান অজিদের হয়ে তাঁর পারফরম্যান্স।

  • সুনীল নারাইন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখা যে কেউ ভালভাবেই চেনেন উইন্ডিজ স্পিনার সুনীল নারাইনকে। কিন্তু এই চেনার পিছনে বড় অবদান ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের। আইপিএল, বিপিএলে পারফর্ম করেই খ্যাতি কুড়িয়েছেন তিনি।

সেই তুলনায় অবশ্য জাতীয় দলের জার্সিতে হতাশ করেছেন এই ডানহাতি, মূলত বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর কারণেই তিনি নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরতে পারেননি।

  • বেনি হাওয়েল (ইংল্যান্ড)

বাংলাদেশী দর্শকের কাছে অন্তত বেনি হাওয়েলকে চেনানোর কিছু নেই। বিপিএলের সৌজন্যে তাঁক চেনে না এমন কোন বাংলাদেশী ভক্ত বোধহয় নেই। শুধু বিপিএল নয়, অন্যান্য টুর্নামেন্টেও সরব উপস্থিতি রয়েছে তাঁর – কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পাননি তিনি, নিজেকে তাই দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন।

  • প্রবীন তাম্বে (ভারত)

সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে প্রবীন তাম্বের ক্রিকেট ক্যারিয়ার। শেষ বয়সে এসে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি, ৩৩ ম্যাচের আইপিএল ক্যারিয়ারে ২৮ উইকেট পেয়েছেন এই লেগস্পিনার; সেজন্য ওভার প্রতি ৭.৭৫ রান খরচ করতে হয়েছে তাঁকে। যদিও ভারতীয় দলের হয়ে কখনো খেলা হয়নি তাঁর।

  • আজহার মাহমুদ (পাকিস্তান)

ক্রিকেটের প্রথমদিককার ফেরিওয়ালা ভাবা হয় আজহার মাহমুদকে। বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট খেলেছেন তিনি, বিনোদন দিয়েছেন দর্শকদের। তবে পাকিস্তানের জার্সিতে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি এই অলরাউন্ডার; সেজন্যই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বিখ্যাত হয়ে আছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link