প্রথম ম্যাচে ৮ ওভারে ৫৩/০, দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ ওভারে ৭০/১ – বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে অ্যাডাম জাম্পার বোলিং ফিগার অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্সের মতই অপ্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে অজিরা জয়ের ধারায় ফিরতেই ফর্মে ফিরেছেন জাম্পা। উল্টোটা বলেছি হয়তো, জাম্পা ফর্মে ফিরতেই জয় পেতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া।
এটাকে মিথ্যে দাবি করার সুযোগ কই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টুর্নামেন্টে প্রথমবার পয়েন্ট পেয়েছিল প্যাট কামিন্সের দল। সেদিন ৪৭ রান খরচ করে চার উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই লেগ স্পিনার। ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও পেয়েছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষেও যথারীতি দুর্দান্ত বোলিং করেছেন এই ডানহাতি। ৫৩ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন চার উইকেট; বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইফতেখার আহমেদের মত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারদের আউট করে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন তিনি।
কিন্তু সপ্তাহখানেক আগেও অ্যাডাম জাম্পাকে লড়াই করতে হয়েছে বিছানায় শুয়ে শুয়ে। লড়াইটা ছিল অসুস্থতার বিরুদ্ধে; ঘাড়ব্যাথা, জ্বর নিয়ে কয়েকদিন কষ্টে কাটাতে হয়েছে তাঁকে। তবে সবকিছু ডিঙিয়ে ম্যাচ উইনার হয়েই ফিরেছেন তিনি।
অসুস্থতা থেকে এসেও সতীর্থের এমন পারফরম্যান্সে বেশ খুশি অজি অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, সে (জাম্পা) সত্যিই অসাধারণ ছিল। গত সপ্তাহ দুয়েক তাঁকে বিছানায় থাকতে হয়েছিল। কিন্তু সে দারুণভাবে ফিরেছে, তাঁর সামর্থ্য দেখিয়েছে। মাঝের ওভারে দারুণ একজন উইকেট টেকার – বাবর, ইফতেখারের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলো পেয়েছিল।’
এছাড়া জাম্পার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মার্কাস স্টয়নিসের বিশ্বাস, পাকিস্তানের বিপক্ষে এই স্পিনার মনে রাখার মত একটা স্পেল করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁর জন্য খুবি খুশি। তাঁর ফ্লু ছিল; সেই সাথে সর্দি, ঘাড় ব্যাথা। কিন্তু সে দুর্দান্ত বোলিং করছে, এই ম্যাচে তাঁর বিশ্বকাপের সেরা পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছে।’
শুরুর হোঁচট সামলে অস্ট্রেলিয়া এখন অনেকটাই ট্র্যাকে ফিরেছে। শেষ দুই ম্যাচ জিতে তাঁরা আপাতত বেশ নির্ভার। দলটির পরবর্তী মিশন নেদারল্যান্ডস জয়, সেই দ্বৈরথেও অ্যাডাম জাম্পার কবজির মোচড়ে উইকেট তুলে নেয়া দেখতে চাইবে ক্যাঙারুরা।