মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে যা অভিযোগ তাঁর পুরোটাই গামিনি ডি সিলভার। এবার তাঁর বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ পাওয়া গেল। তিনি নাকি জাতীয় দলের পেসার এবাদত হোসেনের সাথে দূর্ব্যবহার করেছেন খোদ মিরপুরেই।
এখানেই শেষ নয়, নিজের কথিত লঙ্কান সিন্ডিকেট ব্যবহার করে এবাদত হোসেনের ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ারও হুমকি দেন গামিনি। অবাধ স্বাধীনতা, স্বেচ্ছাচারিতা আর ক্ষমতা অপব্যবহার – একজন মানুষকে কোথায় নিয়ে যায় – তারই বড় প্রমাণ গামিনি ডি সিলভা।
বাংলাদেশ ‘এ’ ও নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের মধ্যকার দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। দলে থাকলেও সেই ম্যাচের একাদশে ছিলেন না এবাদত। শুক্রবার বিরতিতে তিনি সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করেন। তখন উইকেট নিয়ে গামিনির সাথে কথা বলতে গেলে তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। গামিনী বাজে মন্তব্য করেন।
ঘটনাস্থলে যারা ছিলেন তাঁদের দাবি, ল্যান্ডিং জোনের মাটি গর্ত হয়ে যাচ্ছিল। এবাদত বিষয়টা গামিনিকে অবগত করেন। মাত্রই একটা ইনজুরি থেকে ওঠা এবাদতের জন্য এই দুশ্চিন্তা থাকা খুবই স্বাভাবিক।
লঙ্কান কিউরেটরের জবাব ছিল, ‘তুমি তোমার কাজ করো, আমার কাজ নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না।’ গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যানকে জানিয়ে গামিনি চাইলে এবাদতকে জাতীয় দলের বাইরেও ঠেলে দিতে পারেন – এমন হুমকিও দেন তিনি। দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পেস বোলিং কোচ নাজমুল হোসেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এবাদত ঘটনা টিম ম্যানেজমেন্টকে জানান। টিম ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম সেলিম গামিনির সাথে গিয়ে কথা বলেন। গামিনি নিজের ভুল শিকার করলেও ক্রিকেটাররা ক্ষেপে গিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে, এই সময় ঘটনার মধ্যস্থতা করেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি শনিবার গামিনি ডি সিলভাকে ডেকে এই ঘটনার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন।
গামিনির আচরণগত এই সমস্যা নতুন কিছু নয়। নিউজিল্যান্ডের কিউরেটর অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনও এই গামিনির জন্যই বিসিবির চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। এবার এবাদতের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে বিসিবিকে দেখাচ্ছে, সর্বময় ক্ষমতা কারও জন্যই ভাল কিছু বয়ে আনে না।