জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হেরে বসেছিল ভারত, দ্বিতীয় সারির দল হলেও এমন পরাজয় মেনে নিতে পারেনি কেউই। তবে সিরিজের পরের চার ম্যাচের সব কয়টি জিতে নিজেদের দাপট দেখিয়েছে তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই এবার তাঁদের প্রশংসায় মেতেছে পুরো দেশ, অধিনায়ক শুভমান গিলও বাহবা পাচ্ছেন সবার কাছ থেকে।
সাবেক ক্রিকেটার সাবা করিমও তাঁর অধিনায়কত্বের স্তুতি গেয়েছেন। একইসাথে অবশ্য তাঁকে ঘাটতির জায়গাও বাতলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক ও ব্যাটার হিসেবে শুভমান গিল অসাধারণ ছিল। যদিও আমি তাঁর ব্যাটিংয়ে আরো একটু ধারাবাহিকতা আশা করছিলাম। এখানে একটু অভাব রয়েছে তবে অধিনায়ক হিসেবে সে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে । প্রথম ম্যাচ হারার পর যে কোনো অধিনায়কের ওপর চাপ বাড়তে থাকে, আর যদি হয় তরুণ অধিনায়ক তাহলে তো কথা-ই নেই।’
চাপ সামলে দলকে জয়ের পথে ফেরানোর কৃতিত্ব তাই দিতেই হচ্ছে গিলকে। সতীর্থদের অনুপ্রাণিত করে যেভাবে তাঁদের সেরাটা বের করে এনেছেন তিনি তাতে একজন যোগ্য নেতার বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। সাবা করিমও এ ব্যাপারটি তুলে ধরেছেন নিজের কথায়।
এছাড়া আরেক তরুণ যশস্বী জয়সওয়ালের প্রতি মুগ্ধতা ফুটে উঠেছে তাঁর কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘জয়সওয়াল বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি, এখন সে রান করছে। লম্বা সময় খেলার বাইরে থাকার পর নেমেই ধারাবাহিক রান করা কিন্তু মোটেই সহজ নয়। কিন্ত সে কঠিন কাজটা করে দেখিয়েছে।’
সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও হয়েছেন আলোচিত এই দুই ওপেনার। ৪২ গড়ে ১৭০ রান করেছেন অধিনায়ক নিজে অন্যদিকে, তিন ম্যাচ খেলেই ১৪১ রান করেছেন জয়সওয়াল। তারুণ্য নির্ভর ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলকে এগিয়ে নিতে তাঁরা প্রস্তুত সেই বার্তা পাওয়া গিয়েছে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই।