প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া মানেই শামার জোসেফের জ্বলে ওঠা। এটি যেন একপ্রকার চিরন্তন সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিজটাউনে প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিয়ে আবারও প্রমাণ করলেন তাঁর প্রিয় প্রতিপক্ষ এই অজিরাই।
মাত্র ৯ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে শিকার করেছেন ৩৩ উইকেট। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার এই ৩৩ উইকেটের ১৭ টাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ঝুলিতে আছে দুই ফাইফার, আর একবার চার উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব।
ব্রিজটাউন টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তাঁর এই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করতে যেন মুখিয়ে ছিলেন জোসেফ। স্যাম কনস্টাস, উসমান খাজা এবং ক্যামেরুন গ্রীনকে ফিরিয়ে টপ অর্ডার শুরুতেই ধসিয়ে দেন। এরপরের শিকার বিউ ওয়েবস্টার, তাকে ফেরাতে বোধহয় জীবনের সেরা ডেলিভারিটাই করেছেন জোসেফ। মিডল স্টাম্পে পিচ করা বল আউট সুইং করে আঘাত এনেছে অফ স্টাম্পে।
গতি, ইনসুইং, আউটসুইং সেই সাথে চিরাচরিত আগ্রাসন যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন জোসেফ। তবে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েই থামতে হয় তাঁকে, যেটি নির্দ্বিধায় হতে পারতো আরও এক ফাইফারের গল্প।
ট্রাভিস হেডকে করা একটি বল ব্যাট ছুঁয়ে কিপারের গ্লাভসে যায়। তবে উইকেটকিপারের হাতে পৌঁছানোর আগে বল মাটি স্পর্শ করেছে কিনা তা নিয়েই নজর ছিল সবার। শেষ পর্যন্ত থার্ড আম্পায়ার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন ব্যাটারের পক্ষে। ফলে ৪ উইকেটেই থামতে হয় জোসেফকে।
অবশ্য জোসেফের প্রাপ্যটা বুঝে নিয়েছেন সতীর্থ জায়ডেন সিলস। জোসেফের মতোই অজি বধের মিশনে তিনিও ছিলেন সমানে সমান। তুলে নেন ৫ উইকেট—যা তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফাইফার।
ফলাফল—অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ১৮০ রানে গুটিয়ে যায়, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজে ব্যাটিং করে তাদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্কোর। তবুও দিনশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদেরও ছাড় দেয়নি স্টার্ক-কামিন্সরা। ৫৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে তারা।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলো কেড়েছেন ক্যারিবিয়ান দুই বোলার। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের সামনে যেভাবে আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছেন, সেটাই তো অজি বধের স্বপ্ন দেখিয়েছে শুরুতেই।