মাত্র ১১৯ রানেই অলআউট ভারত। যার পুরো কৃতিত্ব পাকিস্তানের পেস আক্রমণের। ঘুরে দাঁড়ানোর দুর্দান্ত এক উদাহরণই যেন স্থাপন করলেন শাহিন শাহ আফ্রিদিরা। তাও আবার ভারত-পাকিস্তানের মত হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে। তাতে অবশ্য নিউ ইয়োর্কের উইকেটও খানিকটা করেছিল সহায়তা। যদিও, যথারীতি কাঠগড়ায় পাকিস্তানের ব্যাটিং
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরেছিল পাকিস্তান। তীব্র স্নায়ুযুদ্ধের সেই ম্যাচটি শেষ হয়েছিল সুপার ওভারে। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের পেস আক্রমণ ছিল একেবারেই নিস্তেজ।
যুক্তরাষ্ট্রের মত স্বল্প অভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে বেজায় ধুকেছেন হারিস রউফরা। এমনকি সুপার ওভারে মোহাম্মদ আমিরের মত বোলারও হারিয়েছিলেন খেই। মার্কিন দলটির মাত্র তিনটি উইকেটই শিকার করতে পেরেছিলেন পাকিস্তানের বোলাররা।
১২ খানা অতিরিক্ত রান দিয়েছিল পুরো বোলিং ইউনিট সেদিন। সেই ম্যাচটি হারের প্রধান কারণই ছিল পাকিস্তানের পেস আক্রমণ। কেননা পাকিস্তানের বোলিং ইউনিট পেসার নির্ভর। সেখানে পেসারদের সাদামাটা পারফরমেন্স ম্যাচ হারের জন্যে যথেষ্ট। সেটাই ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে।
সে ম্যাচ হারের পর একপ্রকার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। কেননা ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হেরে গেলেই এক প্রকার বিদায় ছিল নিশ্চিত। সেই ম্যাচে জ্বলে উঠল পুরো পেস আক্রমণ। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দিয়ে শুরু, শেষটায় হারিস রউফ নিজের নাম জুড়ে রেখেছেন।
মাঝের সময়টায় নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমিররাও উইকেটের তালিকায় নিজেদের নাম তুলেছেন। ভারতের অভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপকে মাথা তুলে দাঁড়াতেই দেননি আফ্রিদিরা। ইকোনমিক্যাল বোলিংও করেছেন প্রত্যেকে। লাইন লেন্থেও ছিল ধারাবাহিকতা। তাছাড়া সুইংও পেয়েছেন আমিররা। তাতে করে নিউ ইয়োর্কের বৈরি উইকেটে বিপাকে পড়েছে ভারত।
সে ফায়দা লুটেছে পাকিস্তানের পেসাররা। ৯টি উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন নাসিম, হারিসরা। পাকিস্তানি পেসারদের ৫৪টি বলে কোন প্রকার রানই নিতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটাররা। ৯টি উইকেট শিকারের সে কাজটা আরও আগেভাগেই হয়ে যেতে পারত। প্রায় দশ-বারটা ক্যাচ ফেলেছেন পাকিস্তানের ফিল্ডাররা।
এক ঋষাভ পান্ত ছয়বারের মত ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো লুফে নিতে হয়েছে ব্যর্থ। ফিল্ডিং আরও একটু ভাল হলে, পাকিস্তানের পেস আক্রমণের কষ্ট নিশ্চিতরুপেই একটু কম হতে পারত। সেসব ছাপিয়ে শাহিনদের স্বরুপে ফেরা পাকিস্তানের জন্যে ভীষণ স্বস্তির।