পেপ গার্দিওলা আসলে কি করবেন? তাঁর করার কি আছে, কতটুকু আছে? তাঁর এখন কেবল নিজে মাঠে নেমে খেলা বাকি! এছাড়া বাদ বাকি সবকিছুই বোধহয় করে ফেলেছেন তিনি তবু জয়ের পথে ফিরতে পারছে না ম্যানচেস্টার সিটি। সপ্তাহের পর সপ্তাহ যাচ্ছে আর তাঁদের ড্র কিংবা হারের স্বাদ পেয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
সবশেষ ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে সিটিজেনরা। দুইবার পিছিয়ে পড়ে দুইবারই সমতায় ফিরেছিল তাঁরা, তা নাহলে অবশ্য কোন পয়েন্ট ছাড়াই মাঠ ছাড়তে হতো তাঁদের।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে গার্দিওলার শিষ্যরা, স্রেফ চার মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে উইল হিউজ বল পাঠান ড্যানিয়েল মুনেজের উদ্দেশ্যে। তাঁর এই একটা পাসেই ফাটল ধরে সিটির রক্ষণভাগে, ফাঁকায় বল পেয়ে যান মুনেজ। ওয়ান টু ওয়ান সিচুয়েশনে গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসা স্টেফান ওর্টেগা কিছু করতেই পারলেন না।
এরপর অবশ্য আর্লিং হাল্যান্ড সমতাসূচক গোল এনে দেন, ম্যাথিউজ নুনেজের দারুণ একটা ক্রসে মাথা ছুঁয়ে বল জালে পাঠান তিনি। এর মধ্য দিয়ে তিন ম্যাচ পর প্রিমিয়ার লিগে গোল করলেন হাল্যান্ড, তাঁর ক্যারিয়ারে এমনটা কিন্তু মোটেই সাধারণ ব্যাপার না।
যদিও দ্বিতীয়ার্ধে পুনরায় পিছিয়ে পড়ে ম্যানসিটি, এবারো নেপথ্যের নায়ক উইল হিউজ। তাঁর কর্নার কিক উড়ে আসে ডি বক্সের মাঝামাঝি, সেখানে সবাইকে ছাড়িয়ে ম্যাক্সিন ল্যাক্রয়েক্স জোরালো হেডারে পরাস্ত করেন ওর্টেগাকে। তাকিয়ে তাকিয়ে নিজেদের অসহায় অবস্থা দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না রুবেন দিয়াজদের সামনে।
তবু ভাগ্য ভাল রিকো লুইস ছিলেন, পাসিংয়ে দুর্দান্ত বোঝাপড়ার প্রমাণ দিয়ে তাঁকে বক্সের ভিতরে বল বানিয়ে দেন বার্নান্দো সিলভা। সেখান থেকে রকেট শটে গোলপোস্টের টপ কর্নার কাঁপিয়ে দেন এই তরুণ।
যদিও তিনি নিজেই আবার দলকে নড়বড়ে করে দিয়েছিলেন খানিকক্ষণ পরে। অহেতুক ক্রিস্টাল প্যালেসের ডিফেন্ডার ট্রেভহ চালোবাহকে ফাউল করে বসেন তিনি, রেফারি তাই আর ছাড় দেননি।
লাল কার্ড দেখিয়ে সরাসরি মাঠ ছাড়ার আদেশ জানিয়ে দেন। ম্যাচের শেষভাগ তাই দশজন নিয়েই খেলতে হয়েছে সিটিকে, ফর্মের দুরাবস্থার মধ্যে এমনটা কাটা গায়ে নুনের ছিটার মতনই।