রিয়াল কি তবে ছন্দে ফিরছে?

সব মিলিয়ে ৩-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে অল হোয়াইটরা। জিরোনাকে এতটুকু ছাড় না দিয়ে তাঁদের মাঠেই প্রত্যাশিত দাপট দেখাতে পেরেছে তাঁরা। পয়েন্ট টেবিলের প্রেক্ষাপটেও জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, এর ফলে বার্সেলোনার সঙ্গে রিয়ালের পয়েন্টের ব্যবধান হয়ে গেলো মাত্র দুই। সেটাও আবার এক ম্যাচ কম খেলে।

লুকা মদ্রিচের ট্রিভিয়া পাস পেয়ে বক্সের ডানদিকে ঢুকে পড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে, খানিকটা এগিয়ে টাইট অ্যাঙ্গেল থেকেই শট নেন তিনি। তাতেই বল জড়ায় জালে, স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেন এমবাপ্পে নিজে। স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে পুরো রিয়াল মাদ্রিদ।

অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে বাজে পারফরম্যান্সের পর তাঁর এই গোলটা বড্ড দরকার ছিল সেটা সবারই জানা। যদিও আরো একবার লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছেন জুড বেলিংহ্যাম; গোল করেছেন, করিয়েছেন। ম্যাচের ৩৬ মিনিটের সময় স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন তিনি।

লস ব্ল্যাঙ্কোসরা যখন কিছুটা চাপে ছিল তখনি ত্রাতা হয়ে এসেছেন ইংলিশ তরুণ। ব্রাহিম দিয়াজের শট ডিফেন্স লাইন থেকে ফিরে আসলে রিবাউন্ডে দারুণ রিফ্লেক্স দেখিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। চলতি মৌসুমের শুরু থেকে টানা গোলের দেখা না পেলেও এবার যেন গোলের ঝাঁপি খুলে বসেছেন তিনি। এই নিয়ে লা লিগায় একাধারে পাঁচ ম্যাচে গোল করেছেন।

তবে গোল করেই থেমে যাননি এই তারকা, সতীর্থ আর্দা গুলারকেও সাহায্য করেছেন জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথমভাগে বেলিংহ্যামের ডিফেন্স চেরা পাস খুঁজে নেয় তুর্কিশ তরুণকে, নিজেদের অর্ধ থেকে একটা পাস দিয়েই তাঁর জন্য ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছিলেন বেলিংহ্যাম। তাই গোল দেয়াটা কঠিন ছিল না গুলারের জন্য।

সব মিলিয়ে ৩-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে অল হোয়াইটরা। জিরোনাকে এতটুকু ছাড় না দিয়ে তাঁদের মাঠেই প্রত্যাশিত দাপট দেখাতে পেরেছে তাঁরা। পয়েন্ট টেবিলের প্রেক্ষাপটেও জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, এর ফলে বার্সেলোনার সঙ্গে রিয়ালের পয়েন্টের ব্যবধান হয়ে গেলো মাত্র দুই। সেটাও আবার এক ম্যাচ কম খেলে।

যদিও কার্লো অ্যানচেলত্তির দুশ্চিন্তা হয়ে এসেছে বেলিংহ্যামের চোট। দ্বিতীয়ার্ধে চোট শঙ্কা মাথায় নিয়ে তুলে নিতে হয়েছে তাঁকে। এমনিতেই ভিনিসিয়াস নেই ইনজুরির কারণে, আরো একজনকে কোনভাবেই হারাতে দিতে চাইবেন না ইতালিয়ান হেডমাস্টার।

Share via
Copy link