নতুন বছর নতুন ভাবে শুরু করতে যাচ্ছে ভারত। নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার অধীনে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পরিকল্পনার শুরুটা ভারত করতে যাচ্ছে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে সিরিজ দিয়ে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরমেটের অধিনায়কত্বের ভার। পূর্ণ মেয়াদে প্রথমবার দায়িত্ব পেয়েই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার কথা জানালেন হার্দিক। বললেন, তার দলের স্লেজিং করার প্রয়োজন নেই, তাদের শরীরী ভাষাই যথেষ্ট প্রতিপক্ষকে ভয় পাইয়ে দিতে।
মুম্বাইয়ের ঐতিহাসিক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নবযাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ভারত। রোহিত শর্মার ওপর তিন ফরমেটে অধিনায়কত্বের ভার কমাতে টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয়েছে গত আসরে আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে। নতুন অধিনায়কের অধীনে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করেছে বোর্ড অব ক্রিকেট কন্ট্রোল ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।
নতুন অধিনায়কের সাথে ডেপুটি হিসেবে টি-টোয়েন্টি র্যাংকিং এর ১ নাম্বার ব্যাটার সুরিয়াকুমার যাদবকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিসিআই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাই পুরো দলকে ঢেলে সাজাতে চাচ্ছে ভারত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই নতুন যাত্রায় হার্দিক অবশ্য পাচ্ছেন ভারতের টপ অর্ডারের ৩ স্তম্ভ রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল আর ভিরাট কোহলিকে।
ভারতের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব অবশ্য নতুন নয় হার্দিক পান্ডিয়ার জন্য। গত বছর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে আয়ারল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতান ভারতকে। এর আগে প্রথমবার অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়ে আইপিএলের নতুন দল গুজরাট টাইটান্সকে শিরোপা জেতান হার্দিক। ব্যাট বলের পাশাপাশি হার্দিকের আগ্রাসী অধিনায়কত্বও সুনাম কুড়িয়েছে চারদিকে।
২০২২ সালেও নিজেদের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ট্রফি খড়া কাটাতে পারেনি ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে শিরোপা জিতলেও এরপর ২০১৪ সাল ব্যাতীত আর কোনো আসরের ফাইনালই খেলতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। হার্দিকের নেতৃত্বে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে তাই এখন থেকেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে ভারত।
যদিও হার্দিক বলছেন গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও নিজেদের খেলায় সমস্যা দেখেন না তিনি, ‘আপনি দেখুন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমরা কোনো ভুল করেছি বলে মনে হয় না। আমাদের মানসিকতা, খেলার প্রতি মনোভাব সবই এক রকম ছিল। হ্যাঁ, বিশ্বকাপে আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম ওইভাবে সব হয়নি। আমি মনে করি বিশ্বকাপের আগে আমাদের যে অ্যাপ্রোচ ছিল তা বিশ্বকাপের এপ্রোচের সাথে মিলে না।’
তরুণ এই দলটার ওপর পুরোপুরি ভরসা রাখতে চান হার্দিক। হার্দিক বলেন, ‘আমরা ছেলেদের বলেছি, মাঠে যাও এবং নিজেকে মেলে ধরো। তাঁরা সেটাই করবে। এটি আমাদের দায়িত্ব তাদের সমর্থন দেয়া। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি তাদের ওপর আমাদের পুরোপুরি বিশ্বাস আছে।’
তারুণ্য নির্ভর এই দল নিয়ে তাই ভয়ডরহীণ ক্রিকেট খেলতে চান এই অলরাউন্ডার। ভারতীয় ‘ব্রান্ড অব ক্রিকেট’ দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ভয় পাইয়ে দিতে চান ভারতের নতুন অধিনায়ক, ‘আমরা কোনো কিছু আগেই ঠিক করতে চাই না। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। হ্যাঁ, আমরা খেলার মাধ্যমে তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই আমরা ভারত। আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে পারি যে, তারা (শ্রীলঙ্কা) প্রতি মুহূর্তে ভাববে যে তারা ভারতের বিপক্ষে ভারতের মাটিতে খেলছে।
স্লেজিং নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পান্ডিয়া বলেন, ‘আমরা তাদের স্লেজিং করতে মাঠে যাব না। আমাদের শরীরী ভাষাই যথেষ্ঠ তাদের ভয় পাওয়াতে।’