ভারতের আসল নায়ক হারিস রউফ

পার্শ্বচরিত্রগুলো বদলে গেছে শুধু। সেদিন বিরাট কোহলি ছিলেন, এবার যেমন সেই জায়গাটা নিলেন তিলক ভার্মা। কিন্তু, কেন্দ্রীয় চরিত্র একজনই - হারিস রউফ। ২০২২ কিংবা ২০২৫ হারিস রউফ ভারতকে জিতিয়ে দেন বারবার। 

পার্শ্বচরিত্রগুলো বদলে গেছে শুধু। সেদিন বিরাট কোহলি ছিলেন, এবার যেমন সেই জায়গাটা নিলেন তিলক ভার্মা। কিন্তু, কেন্দ্রীয় চরিত্র একজনই – হারিস রউফ। ২০২২ কিংবা ২০২৫ হারিস রউফ ভারতকে জিতিয়ে দেন বারবার।

সেদিন মেলবোর্নেও বিপদে ছিল ভারত। পাকিস্তানের দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৬ রানে নেই চার উইকেট। কিন্তু, বিরাট কোহলি ছিলেন। যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া, কিন্তু এর কোনোটাই পূর্ণতা পেত না, যদি না ১৯ তম ওভারের শেষ দুই বলে দুইটা ছক্কা হজম করতেন। আর সেখানেই নিশ্চিত হয় ভারতের অবিস্মরনীয় এক জয়।

৫৩ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলার পর হারিস রউফকে ধন্যবাদ দিতেই পারেন কোহলি। এবার যেমন হারিস পেতে পারতেন তিলক ভার্মার ধন্যবাদ। তিনি পাকিস্তানের ১৪৬ রান করার দিনে একাই হজম করেছেন ৫০ রান, ৩.৪ ওভার বোলিং করে।

অবশ্য, হারিস রউফ ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন আরও আগেই। ছয় ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬৪ রান। দুই চার আর এক ছক্কায় সেই ওভার থেকে ১৭ রান তুলেন তিলক ভার্মা। ১৮ আর ২০ তম ওভারে আরও একটা করে ছক্কা হজম করেন। কখনও শিভাম দুবে, কখনও তিলক ভার্মা – সবাই সুবিধা আদায় করে নিয়েছে এই হারিস রউফের কাছ থেকে।

দুবাইয়ের মাটিতে আক্ষরিক অর্থেই হারিস রউফের বিমান ভূপাতিত হয়েছে তিলক ভার্মাদের ব্যাটে। তিন বছর আগে যে অভিজ্ঞতা তাঁকে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি, এবার সেটাই ফিরে আসল তিলকের ব্যাটে।

সময় গড়ায়। রাত হয়। হাজার বছরের পুরনো সেই রাত। কিন্তু, সেই রাতে নিজেকে আদৌ বদলানো হয় না হারিস রউফের। দু:স্বপ্ন তাঁর ফিরে আসে বারবার, ভিন্নভিন্ন রূপে।

Share via
Copy link