ইনজুরি শঙ্কায় হারিস রউফ

পাঁজরের হাড়ে চোট পেয়েছেন রউফ, সেজন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

অনেক প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে আসলেও আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি পাকিস্তানের পেসাররা। টুর্নামেন্ট জুড়েই ম্লান ছিলেন তাঁরা, বিশেষ করে হারিস রউফ পারেননি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে। পেস বিভাগের ফর্ম নিয়ে যখন দুশ্চিন্তায় টিম ম্যানেজম্যান্ট, তখন পাওয়া গেলো আরেকটি দুঃসংবাদ।

পাঁজরের হাড়ে চোট পেয়েছেন রউফ, সেজন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ে সময়ে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি; পরবর্তীতে মাঠ থেকে উঠে গিয়েছিলেন।

ম্যাচ শেষে তাই এই পেসারের এমআরআই করা হয় এই। রিপোর্ট অবশ্য প্রকাশ করেনি পাকিস্তানের মেডিকেল টিম, তাঁরা আপাতত এই পরীক্ষাকে ‘রুটিন চেকআপ’ হিসেবে দেখছেন।

শুধু তাই নয়, দলের সহ-অধিনায়ক শাদাব খানকে নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কনকাশন ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি; সেই ম্যাচে বোলিং করতে পারেবনি। এরপর থেকে আর মাঠে নামা হয়নি তাঁর, মিস করেছেন বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দুইটি। আবার কলকাতায় ইংলিশদের বিপক্ষে খেলতে পারবেন কি না সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।

এই দুই তারকার কেউই নিজেদের সেরা ছন্দের ধারে কাছে নেই। হারিস রউফ রান খরচ করছেন দুই হাতে, অন্যদিকে শাদাব খান তো উইকেট নিতেই ভুলে গিয়েছেন। তবু বর্তমান স্কোয়াড বিবেচনায় তাঁদের উপস্থিতি পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সেমিফাইনালে জেতে হলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প নেই পাকিস্তানের সামনে। কেবল জিতলেই হবে না, চোখ রাখতে হবে নিউজিল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের ম্যাচেও। এই দুই দল কেমন ফলাফল করে সেটা নির্ধারণ করবে পাকিস্তানের সেমির পথ।

নাসিম শাহ না থাকায় দলটির পেস আক্রমণভাগ অনেকটাই নির্জীব, অন্যদিকে উসামা মীর কিংবা মোহাম্মদ নওয়াজ কেউই পারছেন না ভরসার প্রতিদান দিতে। ডু অর ডাই ম্যাচে তাই দুই ডানহাতির দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে বাবর আজমদের।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...