শুভ্রতার সাধনায় প্রাপ্ত পুরষ্কার

তৃতীয় দিনে লিটন দাস আর মেহেদি হাসান মিরাজ যদি হন ত্রাণকর্তা তাহলে হাসান মাহমুদকে বলতে হয় এক্স ফ্যাক্টর। দিন শেষে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যবধানটা তিনিই গড়ে দিয়েছিলেন, ব্যাট হাতে সংক্ষিপ্ত কিন্তু অসাধারণ প্রতিরোধ গড়ার পর বল হাতে দিনের শেষ স্পেলে তুলে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। কিন্তু এতেই কি তুষ্ট হয়েছে তাঁর মন?

তৃতীয় দিনে লিটন দাস আর মেহেদি হাসান মিরাজ যদি হন ত্রাণকর্তা, তাহলে হাসান মাহমুদকে বলতে হয় এক্স ফ্যাক্টর। দিন শেষে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যবধানটা তিনিই গড়ে দিয়েছিলেন, ব্যাট হাতে সংক্ষিপ্ত কিন্তু অসাধারণ প্রতিরোধ গড়ার পর বল হাতে দিনের শেষ স্পেলে তুলে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। কিন্তু এতেই কি তুষ্ট হয়েছে তাঁর মন?

মোটেই না, চতুর্থ দিনে আবারও শিরোনাম হলেন এই পেসার। তুলে নিলেন আরও তিন উইকেট, এর মধ্য দিয়ে সাদা পোশাকে নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফার পূর্ণ করলেন তিনি।

সপ্তম উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ রিজওয়ান যখন পাকিস্তানকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বড় কিছুর, তখনই আবির্ভাব হল তাঁর। তেমন কিছুই করতে হয়নি, অফ স্ট্যাম্পের খানিকটা বাইরে থেকে আউটসুইং ডেলিভারি। তাতেই পরাস্ত হয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন পাক তারকা।

পরের বলটা অবশ্য একেবারে টেস্ট ক্রিকেটের চ্যানেলে; টেলএন্ডার মোহাম্মদ আলীর পক্ষে সম্ভব হয়নি গা বাঁচিয়ে যাওয়া, তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে বল জমা পড়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। শেষদিকে পুনরায় মির হামজার উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের অলআউট করেন তিনি।

এর আগের দিনও আউটসুইংয়েই ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলেছিলেন হাসান। গুড লেন্থ ডেলিভারিগুলো চতুর্থ, পঞ্চম স্ট্যাম্প থেকে বাইরের দিকে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। এতেই বারবার বোকা বনে গিয়েছে প্রতিপক্ষ, তাঁর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ বিকেলে আবদুল্লাহ শফিক ক্যাচ দিয়েছিলেন পিছনে আর নাইটওয়াচ ম্যান খুররাম শেহজাদ খুইয়েছেন স্ট্যাম্প।

সবমিলিয়ে পাঁচ উইকেট যোগ হলো হাসানের ঝুলিতে, নতুন বল হাতে যেমন উইকেট এনে দিয়েছেন দলকে, তেমনি পুরনো বলে ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার কাজটা করেছেন তিনি। সবমিলিয়ে পরিপূর্ণ একটা পারফরম্যান্স বলা চলে। যে মনোযোগী হয়ে খেলেছেন পুরো ম্যাচ, তাতে এমন পুরষ্কার তাঁর প্রাপ্য বটে।

এবাদত হোসেনের ছিটকে পড়া, তাসকিন আহমেদের চোটপ্রবণতা – এসব কারণেই মূলত লাল বলের পরিকল্পনায় আসেন লক্ষ্মীপুর এক্সপ্রেস। এরপর যা করে দেখালেন তিনি তাতে অবশ্য মনে হচ্ছে এই ফরম্যাটের জন্যই তাঁর উত্থান। একেবারে নিখুঁত লাইন লেন্থ বজায় রেখে টানা বল করে যাওয়ার কাজটা অনায়াসে করে যাচ্ছেন টাইগার তারকা; স্বপ্ন বুনে যাচ্ছেন আরও বড় কিছু করার।

Share via
Copy link