দারুণ এক শতক হাঁকিয়েছেন লিটন দাস। কিন্তু রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনের সমান ভাগীদার হাসান মাহমুদ। তবে একটু বেশি ভাগীদারও বলা যেতে পারে তাকে। তিনি রীতিমত বিস্মিত করেছেন সবাইকে। ব্যাট হাতে খেলেছেন ভীষণ কার্যকর এক ইনিংস। এরপর তো বল হাতে পাকিস্তানের দুলতে থাকা আত্মবিশ্বাসকে ডুবিয়েছেন হাসান।
তৃতীয় সেশনে লিটন সংগ্রহ করেছেন ৫৫ রান। এই পুরোটা সময় জুড়েই লিটনকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন হাসান মাহমুদ। যেই মুহূর্তে সবাই ভেবেছিল সব শেষ, সেই মুহূর্তে হাজির হন হাসান। ব্যাটারদের দুর্দিনে হাসান মাটি কামড়ে পড়ে রইলেন বাইশ গজে। লিটনও বরং তাকে আগলে রেখেছেন, ভরসা জুগিয়েছেন।
আর হাসান প্রতিদান দিতে ভুল করেননি। রানের বিচারে মাত্র ১৩ রান করেছেন হাসান মাহমুদ। কিন্তু তিনি খেলেছেন ৫১টি বল। সেই ৫১ বলই মূলত পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সেই ৫১টি বলই পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাসকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে। শেষ অবধি অপরাজিতও থেকেছেন হাসান মাহমুদ।
১২ রানের লিড নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানকে কোন প্রকার স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে দেননি হাসান মাহমুদ। শেষ বেলায় পাকিস্তানের দুইটি উইকেট তুলে নেন হাসান। প্রথম উইকেট হিসেবে শিকার করেন আবদুল্লাহ শফিকের উইকেট। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন শফিক। লিটন কোন রকম ভুল করেননি।
পাকিস্তান তাই আর কোন ব্যাটারকে বিপদে ফেলতে চায়নি। তাইতো নাইট ওয়াচম্যানের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয় খুররাম শেহজাদকে। সেই শেহজাদকে বোল্ড আউট করেন হাসান। দুর্দান্ত একটা ডেলিভারি ছুঁড়ে দেন হাসান। মিডল স্ট্যাম্প থেকে ডান-হাতি ব্যাটারের ক্ষেত্রে বাইরের দিকে বেড়িয়ে যায় বলটি। নিরুপায় খুররামের প্রতিরোধের কোন উপায় ছিল না বাকি।
তাতে করেই শেষ সেশনের সমান কিংবা খানিক বেশি ভাগিদার বলা যায় হাসানকে। তিনি টিকে ছিলেন বলেই লিটন ৫৫ টি রান সংগ্রহ করতে পেরেছেন। তিনি নিজেও ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ রান করেছেন। তাছাড়া বল হাতে অসাধারণ হাসানের কারণেই পাকিস্তান অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। এই ম্যাচও যে তাদের হাত থেকে ছুটে যাওয়ার উপক্রম।