ট্রাভিস হেড ব্যাটিং করার সময় বোলারের নাম দেখেন না। দলের নামও দেখেন না। তবে, প্রতিপক্ষ যদি ভারত হয়, কিংবা খেলা যদি ভারতে হয়, কিংবা সেটা যদি ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়, তাহলে তার যেন ‘হেড’-এর তার ছিড়ে যায়।
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতেও সেই একই দৃশ্যের অবতারণা দেখল। ব্যাট হাতে হেডের তাণ্ডব নৃত্য দেখল ভারতীয় বোলাররা। আর বলাই বাহুল্য, ট্রাভিস হেডের সেঞ্চুরিতে ভারতকে অ্যাডিলেডে একটু একটু করে ছিটকে ফেলছে ভারত।
আগের দিন ভারতকে ১৮০ রানে অল আউট করে অস্ট্রেলিয়া। আগের ম্যাচে এর চেয়েও ভাল অবস্থানে থেলে ম্যাচে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারায় অস্ট্রেলিয়া। তবে, এবার আর সেটা হল না। এর জন্য প্রায় পুরো কৃতিত্বই হেডের।
বলা যায় মোটামুটি ওয়ানডের স্টাইলেই ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। ভারতের মারমার কাটকাট বোলিংয়ের বিপক্ষে বরাবরের মত আক্রমণই ছিল হেডের প্রধান অস্ত্র। সেঞ্চুরি করার পথেই হাকান তিনটা ছক্কা।
মাত্র ১১১ বলে তিন অংকের মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। গোলাপি বলের টেস্ট ক্রিকেটে এটাই বলের হিসাবে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি। হেড ছাড়া আর কারো ব্যাটেই যেন এই রেকর্ড মানায় না! এই নিয়ে তৃতীবারের মত দিবারাত্রীর টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
ভারত যে একদমই সুযোগ পায়নি – সেটা কিন্তু বলা যাচ্ছে না। সেঞ্চুরি করার ওভার চারেক আগে লং অন ও মিড অনের মাঝে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে হেডের ক্যাচ ছাড়েন মোহাম্মদ সিরাজ। পরের ওভারেই হার্ষিত রানার বলে থার্ড স্লিপ দিয়ে বল বের হয়ে যায়। সেই সুযোগগুলোর সদ্ব্যবহার করতে পারলে ম্যাচের দৃশ্যপটটা ভিন্ন হতে পারত।