বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দশম আসর শুরু হতে হাতে সপ্তাহখানেক সময় বাকি। তবুও যেন কোথাও একটা আমেজের কমতি। মিরপুর হোম অব ক্রিকেট জুড়েই যেন কেমন এক শূন্যতা। সংবাদকর্মীদের অপেক্ষা যেন ফুরোবার নয়। মাঝে মধ্যে দু’একজন খেলোয়াড় নিজেদেরকে ব্যক্তিগতভাবে ঝালাই করে নিতেই হাজির হয়েছেন শেরে বাংলায়।
তবে এমনটা নিশ্চয়ই হওয়ার কথা ছিল না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঘর-বাড়ি ধরা হয় শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে। মিরপুর একাডেমি মাঠ ও ইনডোর সংলগ্ন মাঠে হর-হামেশাই খেলোয়াড়দের উপস্থিতি থাকে। দলগত অনুশীলন কিংবা ব্যক্তিগত অনুশীলন, সবক্ষেত্রেই খেলোয়াড়দের প্রথম পছন্দ হোম অব ক্রিকেট।
তবে বিপিএল শুরু হলেও এখন অবধি দলগত অনুশীলনের সেই ধারা শুরু হয়নি। অথচ টুর্নামেন্ট শুরু হলেই চারিদিকে বেশ একটা সমালোচনার মুখে পড়তে হয় আয়োজক কমিটি থেকে শুরু করে খোদ ক্রিকেট বোর্ডকে। দলগুলোকে ঠিকঠাক অনুশীলনের জায়গা করে দিতে না পারায় প্রায়শই তোপের মুখে পড়তে হয়।
তাছাড়া চারিদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফ্রাঞ্চাইজিগুলোও নিজেদের একটা অনুশীলনের জায়গা তৈরি করতে পারেনি এতদিনেও। এর পেছনে অবশ্য রয়েছে বেশ কিছু কারণ। প্রথমত বিপিএলে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোদ দীর্ঘমেয়াদে দলগুলোর সাথে সম্পৃক্ত থাকে না। যার কারণে তারা নিজেদের একাডেমি গড়ে তোলার ইচ্ছে পোষণ করে না।
ঠিক সেকারণেই মিরপুরে অনুশীলন করতে হয় ঘড়ির কাটার দিকে শক্ত নজর রেখে। এক দলের অনুশীলন শেষ হলেই যে আরেক দলের সুযোগ মিলবে। চিত্রটা বরাবরই তেমন ছিল। তাতে করে হোম অব ক্রিকেট প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই বেশ সরগরম থেকেছে বিগত বছরগুলোতে।
তবে এখন অবধি সে ধরণের পরিস্থিতির দেখা মেলেনি। দলগুলো এখনও নিজেদের অনুশীলন শুরুই করেনি। অধিকাংশ দলই ১৫-১৬ জানুয়ারি নাগাদ নিজেদের দলগত অনুশীলনে নামবে। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম স্রেফ রংপুর রাইডার্স। ফ্রাঞ্চাইজিটির সাথে সম্পৃক্ত থাকা অন্যতম প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। তাদের রয়েছে নিজস্ব স্পোর্টস কমপ্লেক্স। সেই কমপ্লেক্সের পূর্ণ ফায়দা নিয়ে আগে ভাগেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে রংপুর।
অন্যদিকে খুলনা টাইগার্স খানিকটা দেরি করে হলেও নিজেদের প্রস্তুতি ক্যাপ শুরু করছে ১২ জানুয়ারি থেকে। দেশীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে চারদিনের ক্যাম্প হবে বিকেএসপি-তে। এছাড়া স্রেফ একদিন ফরচুন বরিশাল দলের বেশ কিছু খেলোয়াড়দের নিয়ে অনুশীলন করেছে মিরপুরে।
টুর্নামেন্টের বেশিদিন বাকি নেই সে কথা সত্য। তবে মাঠের দোহাই দিয়ে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো স্রেফ দায়সারাভাবেই অংশ নিতে চাইছে আসন্ন বিপিএলে। তাতে করে মাঠের পারফরমেন্সেও আশার প্রতিফলন না হওয়ার সম্ভাবনা কেবল ফিঁকেই হচ্ছে। আর হোম অব ক্রিকেট থেকে যাচ্ছে জৌলুশহীন।