শরীরে কোভিড ১৯-এর উপস্থিতি টের পাওয়ার পর থেকেই নিজেকে ঘরে আবদ্ধ করে রেখেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মানছেন সব রকমের নিয়ম ও সতর্কতা। সাবেক এই অধিনায়ক এসবের ফলও পেতে শুরু করেছেন। তাঁর অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।
করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার এক সপ্তাহ পার করলেন নড়াইল দুই আসনের এই সংসদ সদস্য। প্রথম কয়েকটা দিন তাঁর জ্বর ছিল। এখন সেই সমস্যা নেই। কাশিও কমে এসেছে। গত মঙ্গলবার তার ছোট ভাই মোরসালিন বিন মুর্তজাও করোন ভাইরাসে আক্রান্ত হন।
ছেলে সাহেল ও মেয়ে হুমায়রারও কোভিড ১৯-এর টেস্ট করানো হয়। তাদের রিপোর্টে নেগেটিভ এসেছে। দুই ছেলে-মেয়েকে নড়াইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিরপুরের বাসায় মাশরাফির সাথে আছেন স্ত্রী সুমনা হক সুমি।
দিন তিনেক আগে রেগুলার চেকাপের অংশ হিসেবে হাসপাতালে যেতে হয় মাশরাফিকে। সেখানে তার এক্স-রে করানো হয়। সেই রিপোর্টও সন্তোষজনক। বাসায় তাঁকে রোগ প্রতিরোধের জন্য পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হচ্ছে। বার বার গার্গেল করেন, আদা চা খান।
টেলিভিশনে দেখছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কিংবা লা লিগার খেলা। তাঁর যে ব্যস্ত জীবন, তাতে এমন অখণ্ড অবসর তো সব সময় মেলে না!
মাশরাফির রাজনৈতিক জীবন থেমে নেই। বাড়ি থেকে যতটা সম্ভব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। নড়াইল ফাউন্ডেশনের কাজ চলছে। ব্যক্তিগত সহকারী জামিল আহমেদ সানি এসব কাজে মাশরাফিকে সাহায্য করছেন। হোয়াটস্যাপে মাশরাফি দিচ্ছেন দিক নির্দেশনা।
গেল ২০ জুন কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হন মাশরাফি। এর আগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন তিনি। দু’বার তাকে ঢাকা থেকে আসতে হয়েছিল নড়াইলে। তাঁর চিকিৎসার দিকটা দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ বি এম আব্দুল্লাহ।