টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ব্যাট হাতে শেষবার দুই অঙ্কের রানের ঘর ছুঁয়েছিলেন সেই পাঁচ ম্যাচ আগে। চলমান বিশ্বকাপের আগে ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ৪২ রান। এর ঠিক পরের পাঁচ ম্যাচে রাব্বির ব্যাট থেকে আসে ৭, ৬, ১, ০, ৩ রান।
অথচ বিশ্বকাপের আসরে রাব্বিকে ভাবা হচ্ছিল একজন ফিনিশার ভূমিকায়। সেই ফিনিশারের যদি এই দুর্দশা হয়, তাহলে দলের অবস্থাটা ভাবুন তো! ম্যানেজমেন্ট এবং দলের ভরসার যোগ্য প্রতিদান দিতে পারেননি এই ব্যাটার।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ এখন জেমি সিডন্স। অন্যান্য টাইগারদের মতোই ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বিও দীর্ঘদিন এই গুরুর দীক্ষা নিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের দারুণ পারফর্মার রাব্বির প্রতি তাই সিডন্সের বরাবরই বাড়তি মনোযোগ ছিল।
ইয়াসির আলী চৌধুরী হতে পারতেন বাংলাদেশ দলের নতুন এক ভরসা। প্রায় তিন বছর ধরে জাতীয় দলের সাথে আছেন তিনি, যদিও স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে সুযোগটা মিলছিলনা। কিন্তু অবশেষে যখন সুযোগ পেলেন সেটিও আদৌ ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলেন!
মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পরবর্তী সময়ে পারফরমেন্স দিয়ে রাব্বির দলে একটি শক্তপোক্ত জায়গা করে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এমন মোক্ষম সুযোগ পেয়েও রাব্বি হতাশ করে যাচ্ছেন আমাদের।
এতোদিন ধরে অবমূল্যায়িত বলে বিবেচিত হয়ে আসা রাব্বি তো পারতেন নিজের মূল্যটা প্রমাণ করতে। সন্দেহ নেই তাঁর প্রতিভা নিয়ে, যদিও শেষ কয়েকট ম্যাচ টি-টোয়েন্টিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছেন না একদমই।
ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের প্রিয় পাত্র তিনি। বরাবরই নেটে এই ক্রিকেটারকে নিয়ে বাড়তি কাজ করেন এই অজি কোচ। সেটা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন ব্রিজবেনেও চলল। যেমন আগে হয়েছিল মিরপুর বা চট্টগ্রামে।
তবে, মাঠে যদি ব্যাট হাতে রান করতেই না পারেন, দলে অবদান নাইবা রাখতে পারেন, কি লাভ অতো অনুশীলন করে। তিনি কেবল অনুশীলন করেই যাচ্ছেন, কিন্তু মাঠে পারফর্ম করতে পারছেন না। এই সমীরণে আর যাই হোক ক্রিকেট চলে না। সাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে পাঁচটিতেই পৌঁছাতেই পারেননি দুই অঙ্ক অব্দিই। এমন নড়বড়ে পারফরমেন্স দিয়ে ক্যারিয়ারকে কি আগানো যায়?
জেমি সিডন্সের এই শিষ্য আদৌও কি পারবেন নিজেকে প্রমাণ করতে, এই জায়গায় একটা বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন রেখে গেলাম। দলের প্রয়োজনে পারফর্ম করতে হলে আর কতো অনুশীলন করা লাগবে ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বির?