লিওনেল মেসির সুসময় শেষ হয়েও হচ্ছে না, ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে এসেও একের পর এক অর্জন যোগ করছেন নিজের ঝুলিতে। সর্বশেষ ফিফা বেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার জিতে নিলেন তিনি, আর এই জয়ের পথে আর্লিং হাল্যান্ড আর কিলিয়ান এমবাপ্পেকে হারাতে হয়েছে। কিন্তু হাল্যান্ড এবং মেসি দুজনেই ভোটে পেয়েছেন সমান পয়েন্ট – তাহলে পুরষ্কারের নিষ্পত্তি হলো কিভাবে?
মূলত হাল্যান্ড কোচ এবং মিডিয়া থেকে বেশি ভোট পেয়েছেন কিন্তু মেসি জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং ভক্তদের কাছ থেকে বেশি ভোট পেয়েছেন। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম স্থানের জন্য টাই হলে খেলোয়াড়, কোচ বা গোলরক্ষক যিনি সর্বোচ্চ সংখ্যক ‘পাঁচ-পয়েন্ট’ স্কোর পেয়েছিলেন মনোনীত ব্যক্তির নিজস্ব ঘরানার ভোটারদের দ্বারা তাঁকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
অর্থাৎ পুরুষ খেলোয়াড়দের জন্য পুরুষদের জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোট; পুরুষ কোচদের জন্য পুরুষদের জাতীয় দলের কোচদের ভোট; পুরুষদের গোলরক্ষকদের জন্য পুরুষদের জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখানটায় এগিয়ে গিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপার স্টার।
ফেদে ভালভার্দে, লুকা মদ্রিচদের প্রথম পছন্দ হওয়ার এই ক্যাটাগরিতে বেশি সংখ্যক পাঁচ পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি। এমনকি বাংলাদেশ ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন জামাল ভূঁইয়াও সবার আগে রেখেছেন তাঁকে। সবমিলিয়ে তাই টোটাল পয়েন্ট সমান হলেও অধিনায়কদের পছন্দের বদৌলতে তৃতীয়বারের মত ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হলে এই তারকা।
এর আগে ২০১৯ এবং ২০২২ সালে মর্যাদার এই পুরষ্কার পেয়েছিলেন তিনি। সত্যি বলতে ২০২২ সাল বদলে দিয়েছে তাঁর ক্যারিয়ারের শেষভাগ; কাতার বিশ্বকাপ জিতে পূর্ণতা পেয়েছিল এই ফরোয়ার্ডের ফুটবল জীবন। এরপর জিতেছিলেন অষ্টম ব্যালন ডি’অর আর এখন জিতলেন ফিফা দ্য বেস্ট।
আর্লি হাল্যান্ড অবশ্য মন খারাপ করতেই পারেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পরেও ব্যক্তিগত কোন স্বীকৃতি জোটেনি তাঁর ভাগ্যে। যদিও আগামী বছর থেকে হয়তো এমন পারফরম করলে মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার জিতবেন তিনি, কেননা লিওনেল মেসি ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন আমেরিকাতে।