২০২২ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। সেদিনের সেই বেদনাদায়ক পরাজয়ের পর থেকে দুজনেই ছিলেন দলের বাইরে – তবে সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আফগানিস্তান সিরিজে ফিরেছেন তাঁরা। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৪ মাস পর সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে দেখা যাবে তাঁদের।
অবশ্য এই জুটিকে ফেরানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে – গত এক বছরের বেশি সময় ধরে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড গুছিয়ে নেয়ার পরও হুট করে কেন পরিবর্তন আনা হলো। এই যেমন, রোহিতের অনুপস্থিতিতে হার্দিক পান্ডিয়া অঘোষিত অধিনায়ক হয়েছিলেন এই ফরম্যাটে। বিশ্বকাপেও তাই তাঁর নেতৃত্বে খেলার প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল টিম ম্যানেজম্যান্টের। কিন্তু এখন সেই সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ।
যদিও নিজের দায়িত্ব পালনে দারুণভাবে সফল হয়েছেন পান্ডিয়া। ১৬টি টি-টোয়েন্টিতে টস করতে নেমে ১০টিতেই জিতেছেন তিনি। এছাড়া সুরিয়াকুমার যাদবও দুইটি সিরিজে অধিনায়ক হয়েছিলেন; আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাঁচ ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। অর্থাৎ টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী প্রজন্ম নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল।
সবমিলিয়ে কোহলি এবং রোহিতকে ছাড়া ভারত ২৫টি টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। এর মধ্যে ১৬টিতে জিতেছে তাঁরা এবং জয়ের হার ৬৪ শতাংশ। ঘরের মাঠে সংখ্যাটা অবশ্য ৭২.৭৩, অন্যদিকে বিদেশের মাটিতে ৫৭ ভাগ ম্যাচে জয় পেয়েছে দলটি।
এমন আধিপত্যের কারণ যশস্বী জসওয়াল, রিঙ্কু সিংদের মত ব্যাটারদের পারফরম্যান্স। অভিজ্ঞ তারকাদের অনুপস্থিতিতে তাঁরা সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। আধুনিক ক্রিকেটে অ্যাপ্রোচ ঠিক যেমনটা হওয়া উচিত, এই উদীয়মান তরুণদের অ্যাপ্রোচ তেমনই ছিল। সেট হয়ে বড় রান করার চেয়ে ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় কার্যকরী ইনিংস খেলার দিকেই মনোযোগ তাঁদের।
২০২২ বিশ্বকাপে এই মানসিকতার অভাব ছিল ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপে। বিরাট, রোহিত, রাহুল প্রত্যেকেই লম্বা সময় ক্রিজে থাকতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সেটা টিম ইন্ডিয়ার জন্য খুব একটা উপকার বয়ে আনেনি। এখন দেখার বিষয়, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিতরা নিজেদের ভেঙে গড়তে পারেন কি না।