হৃদয়ের গহিনে ফেরার পথ পেয়েছেন হৃদয়

তাওহীদ হৃদয় কি সত্যিই তবে ফিরে এসেছেন? হ্যাঁ, রান প্রসবা সেই পাওয়ার হিটার নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন। দ্য ভিনটেজ স্টারবয় ইজ ব্যাক ইন বিজনেস। আর তিনি ফিরে আসার পথ খুঁজে পেলেন ঠিক সেই সময় যখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি দরকার তাঁকে।

তাওহীদ হৃদয় কি সত্যিই তবে ফিরে এসেছেন? হ্যাঁ, রান প্রসবা সেই পাওয়ার হিটার নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন। দ্য ভিনটেজ স্টারবয় ইজ ব্যাক ইন বিজনেস। আর তিনি ফিরে আসার পথ খুঁজে পেলেন ঠিক সেই সময় যখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি দরকার তাঁকে।

১৯ তম ওভারে ৩৭ বলে ৫৮ রান করে যখন ফিরে যান, বাংলাদেশ তখন জয়ের দুয়ারে। এশিয়া কাপ ফাইনালের গন্ধ মনে উঁকি দিতে শুরু করেছে। হৃদয় থেকে একটাই ডাক আসছে বারবার, ধন্যবাদ তাওহীদ। সমালোচনা থেকে যদি ভাল কিছু হয় তবে সমালোচনাই ভাল।

দু’টি ছক্কা আর চারটি চার। কোনো সময় মনে হয়নি, তিনি আউট হয়ে যেতে পারে। ১৫৬.৭৬ স্ট্রাইক রেট। পরিপূর্ণ এক টি-টোয়েন্টি ইনিংস। পরিপূর্ণ এক প্রত্যাবর্তনের আভাস। এমন ইনিংসের হাত ধরে এবার ধারাবাহিকতায়ও ফিরে আসুক তাঁর ব্যাটে, প্রত্যাশা আপাতত এটুকুই।

সুপার ফোরের ম্যাচ। সামনে হৃদয়ের প্রিয় প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই এক অহেতুক রান আউটের পর একাদশ থেকে জায়হা হারানোর উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের ভরসা তিনি পেয়েছেন।

এমনকি এই ইনিংস খেলতে নামার আগেও লিটন দাস পিঠ চাপড়ে দিয়েছিলেন। যেন বলছিলেন, বাইরের সব আলোচনা ভুলে যাও। এই বাইশ গজ তোমার আকাশ, এই আকাশের হাজার তারার মিছিলে তোমার আলোই বেশি উজ্জ্বল হবে।

হৃদয় সেই ভরসার প্রতিদান দিলেন। টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের তরবারি মেলে ধরলেন আরেকবার। দুবাইয়ের মাটিতে বিজয়ের নিশানা ওড়ালেন, নাগিন ডার্বির দামামা বাজিয়ে লঙ্কানদের বুকে ভয় ধরালেন। এটা সেই ভয়, যেটা দেখেই ছেলেবেলায় মা বলত, ঘুমিয়ে পড়ো, নয়তো হৃদয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ করতে তাওহীদ এসে উপস্থিত হবে।

হৃদয় সত্যিই এসে হাজির হয়েছেন। আর সেই ফেরাতেই ফাইনালে ওঠার পথটা এখন বাংলাদেশ চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে। রোজ রোজ ‍যদি, এমন ইনিংসের দেখা মেলে তাহলে ফাইনালের পথটা বাংলাদেশের জন্য কঠিন নয়।

Share via
Copy link