টপ অর্ডারেও ধারাবাহিক তাওহীদ হৃদয়

অভিষেক ম্যাচেই দাপুটে অর্ধশতক, বাংলাদেশী তরুণ তুর্কি তাওহীদ হৃদয়ের উপর ভরসাটা তাতে বেড়ে গিয়েছিল জাফনা কিংসের। তাই তো পরের ম্যাচেই ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দেওয়া হয়, একেবারে তিন নম্বরে পাঠানো হয় তাঁকে।

বাড়তি প্রত্যাশা কিছুটা হলেও পূরণে করেছেন তাওহীদ হৃদয়। টপ অর্ডারে সুযোগ পেয়ে করেছেন ২০ বলে ২৪ রান। দুই চারের মারে শুরুটা দারুণ ছিল তাঁর এই ইনিংসের। যদিও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন তিনি।

পাওয়ার প্লের পরের ওভারগুলোতে ব্যাটিংয়ের মোমেন্টাম ধরে রাখার কাজটা করে দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। অহেতুক ডট বল না দিয়ে দলের স্কোরকার্ড সচল রেখেছেন তিনি। চারিথ আসালঙ্কার সাথে তাঁর গড়া ৫৫ রানের জুটিতে ভর করেই চ্যালেঞ্জিং পুঁজির দিকে এগিয়েছে জাফনা কিংস।

২০২৩ বিপিএলেও মাশরাফির দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের টপ অর্ডারে খেলেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। পুরো আসর জুড়েই তিনি ছিলেন সেরা ছন্দে, বড় রান যেমন করেছেন, তেমনি রান তোলার গতি ছিল সময়ের চাহিদা অনুযায়ী। হৃদয়ের এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স কাছ থেকে দেখেছিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিদেশী তারকা থিসারা পেরেরা, তিনিই এখন জাফনা কিংসের অধিনায়ক।

হয়তো তাওহীদ হৃদয়কে টপ অর্ডারে সুযোগ দেয়ার পিছনে অবদান আছে থিসারা পেরেরারও। খুব চমৎকার কিছু করতে না পারলেও, ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্তকে অন্তত যৌক্তিক প্রমাণ করেছেন এই টাইগার তারকা। যতক্ষণ বাইশ গজে ছিলেন, ততক্ষণ কোন বোলারকেই চাপ সৃষ্টি করার সুযোগ দেননি তিনি। বিশেষ করে তাঁর স্ট্রাইক রোটেশন ছিল বরাবরের মতই প্রশংসনীয়।

ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত হওয়ার পর থেকেই আলাদাভাবে নজর কেড়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। তাঁর মানসিকতা যে অন্য অনেক তরুণের চেয়ে আলাদা সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন ব্যাট হাতে। এইতো আগের ম্যাচেই ৩৯ বলে ৫৪ রানের ম্যাচজয়ী নকে লঙ্কান ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন তিনি।

প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়, আগামী ম্যাচগুলোতেও এই ডানহাতির উপর আস্থা রাখবে জাফনা ম্যানেজম্যান্ট। ভক্ত-সমর্থকদের হৃদয় জেতার কাজটা সেসব ম্যাচেও করতে চাইবেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী তাওহীদ হৃদয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link