ফরম্যাট বদলায়, বদলায় জার্সিও কিন্তু জাসপ্রিত বুমরাহ পারফরম্যান্সে ছেদ পড়ে না একটুও। সর্বশেষ গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর দুর্ধর্ষতা ম্লান হয়েছে গুজরাটের দারুণ ডেথ বোলিংয়ে; রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে স্রেফ ছয় রানে হারিয়েছে শুভমান গিলের দল।
আগে ব্যাট করতে নামা গুজরাট শুরুটা ভালভাবেই করেছিল। কিন্তু বুমরাহ আক্রমণে এসেই ব্রেক থ্রু এনে দেন দলকে। সাই সুদর্শন আর শুভমান গিল এরপর জুটি গড়েন শক্ত হাতে, দুজনের মিলিত অবদানে ৩৩ রান যোগ হয় বোর্ডে। গিলের বিদায়ের পর আজমতউল্লাহ ওমরজাই চেষ্টা করেছিলেন রান তোলার গতি বাড়াতে, কিন্তু ১৭ রান করে তিনিও থামেন।
তখনো অবশ্য বড় সংগ্রহের আশা টিকে ছিল টাইটান্সদের সামনে। কিন্তু বুমরাহর কারণে সেই আশা পূরণ হয়নি। সতেরোতম ওভারে তিন বলের মাঝেই সুদর্শন ও ডেভিড মিলারের উইকেট তুলে নিয়ে দলটির ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেন এই পেসার। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তাঁরা।
শেষদিকে রাহুল তেওয়াটি ১৫ বলে ২২ রান করেছেন ঠিকই, কিন্তু বাকিরা কেউই সে অর্থে অবদান রাখতে পারেননি। ফলে ১৬৮ রানেই থামে গিল বাহিনী; আইপিএলের প্রেক্ষাপটে এমন পুঁজি মামুলি বটে।
তবু প্রথম ওভারে ঈশান কিষাণকে ফিরিয়ে লড়াই করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আজমতউল্লাহ। কিন্তু সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা অনঢ় ছিলেন। তরুণ নামান ধীরের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়ে চাপ কাটিয়ে উঠেন তিনি। এরপর ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে নিয়ে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন আরো ৭৭ রান।
জয়ের পথ ততক্ষণে সহজ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ৪৩ রান করে রোহিত প্যাভিলিয়নের পথ ধরতেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে রশিদ খান, মোহিত শর্মারা। আঁটসাঁট বোলিংয়ের পাশাপাশি নিয়মিত উইকেট তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তাঁরা। টিম ডেভিড, তিলক ভার্মা কেউই পারেননি টপ অর্ডারের গড়ে দেয়া ভিতের উপর দাঁড়িয়ে বাকি কাজটুকু শেষ করতে।
শেষ ভরসা হয়ে বাইশ গজে ছিলেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ছয় বলে তখন প্রয়োজন ছিল ১৯ রানের। প্রায় অসম্ভব এই সমীকরণ মেলাতে চেয়েও পারেননি তিনি। শেষমেশ ১৬২ রানেই থামতে হয়েছে তাঁর দলকে।