চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ধাপ। বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা সহ উপমহাদেশের দেশ গুলোতে করোনার সংক্রমণ বেশ উদ্বেগজনক। ভারতেও প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে এক লাখেরও বেশি মানুষ।
ভারতে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়াতে সঠিক সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা। ভারতে করোনার এমন পরিস্তিতিতে আলোচনা শুরু হয়েছে ভারত থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া হবে নাকি গত বারের মতো এবারের বিশ্বকাপও স্থগিত ঘোষণা করা হবে।
এমন অবস্থায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস জানিয়েছেন ভারতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তিনি আরো জানিয়েছেন পরিস্তিতি যদি আরো খারাপ হয় তবে তাঁর জন্য বিকল্প পরিকল্পনা করবে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আসরটি আয়োজনের সব ধরণের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে যা চলছে তা আমরা অবগত আছি। কীভাবে ক্রীড়া ইভেন্টগুলি চলছে এবং প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সমস্ত দিক নিয়ে আপডেট নেয়া অব্যাহত রেখেছি।’
অ্যালারডাইস আরো বলেন, ‘আমাদের কাছে বিকল্প পরিকল্পনা রয়েছে যাতে পরিস্থিতি খারাপ হলে ব্যবস্থা করা যায়। আমাদের হাতে এখনো যথেষ্ট সময় রয়েছে। পরিস্থিতি কী হচ্ছে এবং ক্রিকেট ইভেন্টগুলি কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে তা দেখতে আমাদের হাতে এখনো কিছু সময় মাস সময় রয়েছে।’
করোনা প্রোকোপের ভিতরই চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়াম লিগের (আইপিএল) ১৪তম আসর। এছাড়া জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবল নিশ্চিত করে করোনার ভিতরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে অনেক দেশ। আইসিসির প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন এই সব কিছু দেখে শিক্ষা নিয়ে পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি দেশে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে, আমরা সে সব দেখে শিক্ষা নিচ্ছি এবং পরিকল্পনা অনুসারে এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা সঠিক সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারব।’
চলতি বছরের নভেম্বরে মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। এর আগে গত বছর করোনার কারণেই স্থগিত করা হয়েছিলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর।