অ্যাক্রোবেটিক বাইসাইকেলে গোল, শূন্যে ভেসে শক্তিশালি হেডার, সবকিছুতেই পারদর্শী ইখসান ফান্ডি। আর তিনিই হতে পারেন বাংলাদেশের দু:খ দেওয়ার সিঙ্গাপুরি ফন্দী। একেবারে জাত স্ট্রাইকার, গোল করাই যার প্রধান নেশা ও পেশা।
দশ জুন বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচকে ঘিরে হচ্ছে নানান আয়োজন। আলোচনা-সমালোচনাও হচ্ছে হরদম। দুই দলের শক্তিমত্তা, দূর্বলতা নিয়েও হচ্ছে কাঁটাছেড়া। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ফুটবলের নবজাগরণের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন ইখসান ফান্ডি।
ছয় ফুট উচ্চতার স্ট্রাইকার। পায়ে তার জোরাল শট। ডি-বক্সের আশেপাশে তার নজর ভীষণ তীক্ষ্ম। বল পায়ে পাওয়া মাত্রই তিনি জালের জড়ানোর জন্যে প্রায় উঠে পড়ে লাগেন। আর ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট চালাতে তিনি ভীষণ পটু।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ইসখান ফান্ডি তারিক-তপুদের ভয়ের কারণ হতে পারেন যেকোন মুহূর্তে। ফান্ডির বাবা সিঙ্গাপুরের কিংবদন্তি ফুটবলার ছিলেন। তার বাবা ফান্ডি আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরের ফুটবলের প্রধান চরিত্র হিসেবে বিচরণ করেছেন। তার উত্তরসূরী হিসেবে তারই চার পুত্র খেলেছেন সিঙ্গাপুর জাতীয় দলের হয়ে। তাদের মধ্যে এই মুহূর্তে আলোড়িত চরিত্র ইখসান ফান্ডি।
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে একটু দোলাচলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন ইখসান। ওই যে ফুটবলারদের নিত্যদিনের দুশমন- ইনজুরি তার স্ট্রাইকিংয়ের ধার কমিয়েছে বেশ খানিকটা। এমনকি চলতি মৌসুমে তিন গোল পেয়েছেন। থাইল্যান্ডের সর্বোচ্চ স্তরে খেলছেন এই নিয়ে চার মৌসুম ধরে।
বিজি পাথুম ইউনাইটেডের হয়ে এবারের মৌসুমেই তার করা গোল চলতি মৌসুমেই সবচেয়ে কম। ফর্ম ঠিক এতটাই প্রভাবিত হয়েছে। গেল প্রায় দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুরের হয়ে ২৮টি ম্যাচের ২৫টি ম্যাচেই খেলতে পারেননি ইখসান। সুতরাং এই বাজে ফর্ম বাংলাদেশের জন্যে হতে পারে আশির্বাদ।
কিন্তু তাকে আটকে দেওয়ার একটা ছক অবশ্যই করতে হবে বাংলাদেশকে। উচ্চতা থাকায় লং বল আয়ত্ত্বে নেওয়া থেকে ফিনিশিং টাচ দেওয়ার দক্ষতা তাকে খানিকটা বাড়তি সুবিধা দেবে। যেহেতু সিঙ্গাপুর লং বল কৌশলেই খেলে থাকে। অতএব ইখসানকে বাড়তি মার্কিং করতে হবে তপু-তারিকদের। নতুবা তিনি এই নব জাগরণের স্রোতের মাঝে বাঁধ হয়ে দাঁড়াতে পারেন।