বিশ্বকাপ একাদশে নিশ্চিত ইমাদ ওয়াসিম

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন খানিকটা অভিমান করেই; পাকিস্তানের জার্সি তুলে রেখেছিলেন, ব্যস্ত ছিলেন বিভিন্ন লিগে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইমাদ ওয়াসিমকে পুনরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরিয়ে এনেছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট, এমনি বিশ্বকাপের সেরা পনেরোতেও রাখা হয়েছে তাঁকে।

সেই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণে অবশ্য কার্পণ্য করেননি এই স্পিন অলরাউন্ডার। প্রায় প্রতি ম্যাচেই ধারাবাহিক পারফরম করেছেন। ব্যতিক্রম হয়নি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও, বাকিরা যেখানে দু’হাতে রান বিলিয়েছে সেখানে তিনি কিপ্টে বোলিংয়ের পাশাপাশি উইকেট তুলেছেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।

এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মোটে ১৯ রান খরচ করেছেন এই বাঁ-হাতি, বিনিময়ে শিকার করেছেন দুইজন ব্যাটারকে। উড়ন্ত সূচনা পাওয়া সত্ত্বেও ইংল্যান্ড যে নাগালের বাইরে যেতে পারেনি সেটার কৃতিত্ব কিন্তু তাঁরই। তাই তো এমন বোলিংয়ে তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশা বেড়েছে সমর্থকদের।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ইমাদকে বোলিংয়ে এনেছিলেন বাবর আজম। প্রথম বলেই দলকে খুশির উপলক্ষ এনে দিয়েছিলেন তিনি, আউট করেছিলেন ইনফর্ম ফিল সল্টকে। সেই ওভারে সবমিলিয়ে দুই রান খরচ করতে হয়েছে তাঁকে, একইভাবে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে মাত্র তিন রান খরচ হয়েছে।

ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে একটা ছক্কা হজম করতে হয়েছিল বটে, কিন্তু দ্বিতীয় বলে ছক্কা হজম করার পরও নয় রানের বেশি নিতে দেননি এই স্পিনার। এরপর আবার আক্রমণে এসে বিধ্বংসী হ্যারি ব্রুককে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন তিনি, তাতেই কিছুটা মোমেন্টাম ফিরে পেয়েছিল সফরকারীরা।

ইনিংস জুড়ে পাঁচজন বোলারকে ব্যবহার করা হয়েছিল, এদের মধ্যে চারজনই ওভারপ্রতি সাড়ে আটের বেশি রান দিয়েছেন। কেবল ইমাদ ওয়াসিমই নিজের ইকোনমি পাঁচের নিচে রাখতে পেরেছেন। তাঁর সবচেয়ে শক্তির জায়গা আসলে এটিই, নিয়ন্ত্রিত লাইন লেন্থে বোলিং করে রান আটকে দিতে জানেন মুহূর্তের মাঝে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাঁর কাছে এমন পারফরম্যান্সই দেখতে চাইবে পাকিস্তানের ভক্তরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link