রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১০ বছরে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে একটি বিশেষ আদালত আজ মঙ্গলবার এই রায় প্রদান করেছে। সে রায়ে ইমরান খান ছাড়াও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে একটি কূটনৈতিক নথি ছিল, যেটি তিনি পরবর্তীতে হারিয়ে ফেলেন। আর সে কারণেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে করা কূটনৈতিক তারবার্তা (সাইফার) ফাঁসের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।
যদিও ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) শুরু থেকেই অভিযোগ, এ মামলাটি পুরোপুরিই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ওই নথিতে ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ছিল।
এর আগে, গত বছরের ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় পাকিস্তান আদালত। মূলত পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ২০২২ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পরই ইমরানের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়েছে।
এর মধ্যেই তোশাখান দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হন তিনি। তবে দেশটির হাইকোর্ট ২৯ আগস্ট সাজা স্থগিত করেন। কিন্তু তথ্য ফাঁস (সাইফার) মামলায় ইমরান জুডিশিয়াল কাস্টাডিতে ছিলেন। যেটার রায় অবশেষে আসলো এই ৩০ জানুয়ারিতে।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইমরানের পক্ষ থেকে তাঁর দলের নেতারা মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু এ রায় আসার পর এখন আর নির্বাচনেই দাঁড়ানো হচ্ছে না ইমরানের। কেননা, পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী দণ্ডিত কোনো ব্যক্তি সরকারি কোনো পদ গ্রহণ করতে পারেন না।