লিভারপুলের আধিপত্যের নেপথ্যে নায়ক যদি হন মোহামেদ সালাহ, তাহলে সহ-নায়কের ভূমিকায় রাখতে হবে কডি গ্যাকপোকে। চলতি মৌসুমে সালাহর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি; আর কখনো যদি সালাহ বিবর্ণ হয়ে যান তাহলে চোখের পলকে প্রতিপক্ষের হন্তারক হয়ে উঠার অভ্যাস আছে তাঁর।
এইতো সবশেষ ইপ্সউইচের বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেছেন এই ফরোয়ার্ড। শুধু কি তাই! সালাহকে দিয়ে গোলও করিয়েছেন তিনি। এ তো শুধু এক ম্যাচের কারবার, শেষ ছয় ম্যাচে পাঁচ গোল, দুই অ্যাসিস্ট যোগ হয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
সবমিলিয়ে আট গোল করে ফেলেছেন এই তরুণ, যা কি না গত আসরে তাঁর পুরো মৌসুমের অর্জন। তবে কেবল হোম ম্যাচের কথা বিবেচনা করলে বিরল এক রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এ নিয়ে টানা পাঁচটি হোম ম্যাচে গোল করেছেন তিনি, প্রিমিয়ার লিগে ডাচ খেলোয়াড় হিসেবে এই কীর্তি আছে কেবল রুড ভ্যান নিস্টেলরয় আর রবিন ভ্যান পার্সির।
উড়তে থাকা অলরেডরা যে ইপ্সউইচকে উড়িয়ে দিবে সেটা অবশ্য প্রত্যাশিত ছিল। সেই প্রত্যাশা পূরণের শুরুটা হয়েছিল ডোমিনিক সোবোসলাইকে দিয়ে। প্রায় বিশ গজ দূর থেকে নেয়া দারুণ এক শটে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। খানিক পরে চিত্রপটে আগমণ মোহামেদ সালাহর, গ্যাকপোর মাপা ক্রস থেকে গোল আদায় করেন তিনি। লিগে এই নিয়ে এটি তাঁর ১৯তম গোল।
এরপর বাকি গল্প তো ড্যাচম্যানের লেখা, প্রথমার্ধের শেষদিকে এক গোল করে জয় নিশ্চিত করেছেন তিনি। যদিও ৩-০ গোলে তুষ্টি মেলেনি তাঁর, বিরতি থেকে ফিরে নিজেই আবার লিড বাড়িয়েছেন। শেষদিকে ইপ্সউইচ এক গোল শোধ দিলে ৪-১ গোলে জেতে দলটা।
সবমিলিয়ে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের ‘কমপ্লিট শো’ ছিল। ডিফেন্স থেকে রক্ষণ সর্বত্র আধিপত্য দেখিয়েছ তাঁরা। এখন এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা, তাহলেই আরো একটা লিগ শিরোপা আসতে যাছে অ্যানফিল্ডে।