ক্রিকেট বিশ্ব যখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিল আইপিএলের নিলাম নিয়ে, পৃথিবীর আরেকপ্রান্তে তখন মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা আর ভারত। টনি ডি জর্জির সেঞ্চুরিতে ভর করে অবশ্য জয় তুলে নিয়েছে প্রোটিয়ারা। এর আগে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে পিছিয়ে পড়েছিল দলটি; সমতায় ফিরতে তাই দারুণ কিছু করতেই হতো তাঁদের।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত শুরুতেই ধাক্কা খায়। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই আউট হন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তিন নম্বরে নামা তিলক ভার্মাকেও পড়তে হয় পেসারদের তোপের মুখে, ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সেই তোপ সামলান তিনি। কিন্তু ৩০ বলে ১০ রান করে থামতে হয় তাঁকে। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়া দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।
ওপেনার সাই সুদর্শনকে নিয়ে গড়েন ৬৮ রানের জুটি, ৬২ রান করে সুদর্শন ফিরলে ভেঙে যায় দুজনের প্রতিরোধ। দীর্ঘ দিন পর দলে ফেরা সঞ্জু স্যামসন পারেননি অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে, ফলে ১৩৬ রানেই চার উইকেটের পতন ঘটে। অভিষিক্ত রিংকু সিংকে সঙ্গে মিলে রাহুল এরপর স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৩১ রান, কিন্তু ৫৬ রানের মাথায় তিনি আউট হলে ধ্বস নামে দলটির ব্যাটিং লাইনআপে।
অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদবরা রানের দেখা না পাওয়ায় চ্যালেঞ্জিং পুঁজির আশা শেষ হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত আর্শ্বদীপ সিংয়ের ১৮ রানের ইনিংসের কল্যাণে ২১১ রান করে ভারত।
পিংক ডে-তে দুর্ধর্ষ বোলিং নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন আর্শ্বদীপ, আভেশরা। দ্বিতীয় ম্যাচেও তেমন কিছুর প্রত্যাশায় ছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু তাঁদের প্রত্যাশায় জল ঢেলে দেন রেজা হেন্ড্রিকস আর ডি জর্জি। দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় কোন উইকেট না হারিয়েই শতরানের দেখা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ততক্ষণে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন বাঁ-হাতি ওপেনার।
খানিক পরে হেন্ড্রিকসও ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটি, যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছিলেন তিনি। তাতে অবশ্য সমস্যায় পড়তে হয়নি প্রোটিয়াদের, রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে নিয়ে আরেকটি ম্যারাথন জুটি গড়েন জর্জি।
এরই মাঝে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান তিনি, ১০৯ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে অপরাজিত থাকেন দলের জয় নিশ্চিত করা পর্যন্ত। শেষদিকে রিংকু ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট তুলে নিলে আট উইকেটের বিশাল জয় পায় এইডেন মার্করামের দল।