কেন এশিয়া কাপ ছেড়ে দিয়েছিল ভারত?

ভারতের এশিয়া কাপ না খেলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এবারও সেই শঙ্কা ছিল শুরু থেকেই। তবে অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে এবারের আসরে ভারত অংশগ্রহণ করছে। মাসের শুরতে যা নিশ্চিত করেছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তাই তো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটলো না।

ভারতের এশিয়া কাপ না খেলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এবারও সেই শঙ্কা ছিল শুরু থেকেই। তবে অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে এবারের আসরে ভারত অংশগ্রহণ করছে। মাসের শুরতে যা নিশ্চিত করেছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তাই তো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটলো না।

১৯৮৪ সালে উদ্বোধনী আসরে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। এর ঠিক দুই বছর পর, ১৯৮৬ সালের এশিয়া কাপে ভারতের না খেলার সিদ্ধান্ত এখনও একমাত্র ঘটনা। সেবারের আসরের আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে সেসময় দেশটিতে চলছিল গৃহযুদ্ধ, তৈরি হয়েছিল নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা।

তাই তো নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে সেবার এশিয়া কাপ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছিল ভারত। ফলে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এই তিন দল মিলে হয়েছিল এশিয়া কাপের আসর। শেষ মেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।

২০২৫ সালে হতে যাওয়া এশিয়া কাপের আসরে ভারতের না খেলার জোর গুঞ্জন ছিল। যার সূত্রপাত হয়েছিল লেজেন্ডস লিগে। দুই দেশের রাজনৈতিক সংঘাতের প্রভাব পড়েছে ক্রিকেট মাঠেও। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ বয়কট করেছিল ভারত। এমনকি সেমিফাইনালে নাম প্রত্যাহার করে দেশে ফিরেছিল তারা।

তাই তো এশিয়া কাপে তাদের অংশগ্রহণ নিয়েও সংশয় ছিল। আপাতত অবশ্য দুশ্চিন্তার সেই মেঘ কেটে গেছে। আসন্ন এশিয়া কাপ টি–টোয়েন্টি তাই আটটি দলই থাকছে। যেখানে গ্রুপ ‘এ’-তে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। গ্রুপ ‘বি’-তে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও হংকং।

আর তাই তো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখা যাবে গ্রুপ পর্ব থেকেই। এমনকি এই দুই দল সর্বোচ্চ তিনবার মুখোমুখি হতে পারে এবারের আসরে। গ্রুপ পর্বে, সুপার ফোরে এবং সম্ভাব্য ফাইনালে—যা ক্রিকেটের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বহুগুণে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link