এশিয়া কাপে ভারতের অংশগ্রহণ করা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি; ভারতীয় দল পাকিস্তানে যাবে না সেটার সূত্র ধরে চলেছে নানামুখী আলোচনা। অনেক সভা হয়েছে, একাধিক প্রস্তাব নিয়ে ভাবা হয়েছে। শেষমেশ হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
একই ভাবে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে যোগ দিতে টালবাহানা শুরু করেছিল পাকিস্তান। যদিও অনেক দল পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। আর তাতেই বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনে; কেউ কেউ হেসেছেন পাকিস্তানের হিপোক্রেসিতে, কেউ আবার অবাক হয়েছেন।
পাকিস্তানের সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন স্বয়ং হার্শা ভোগলেও। তিনি অবশ্য বিদ্রুপের সুরেই নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন এই ব্যাপারে। এরপরই সমালোচনার ঝড় উঠেছে পাকিস্তানি ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে। তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন, অনেকে আবার মেগা টুর্নামেন্টে তাদের দলের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানোর দাবি করেছেন।
টুইটার একাউন্টে এই বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার লিখেন, ‘বিদ্রোহী বক্তব্য, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসব ভুলে যান। পাকিস্তান বিশ্বকাপে আসতোই; তাঁরা যে ভারত পর্যন্ত আসবে এটা আমরা দুই মাস আগে জানতাম। তাদের খেলোয়াড়রাও এটাই চায়।’
ক্রিকেট নিয়ে নানা বিশ্লেষণ আর নান্দনিক বর্ণনা দিয়ে নিজের বিশাল সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি করে ফেলেছেন হার্শা ভোগলে। দেশ, জাতি ভেদে সবার কাছেই জনপ্রিয় তিনি। তবে এবারের মন্তব্যে তেমন কিছু হয়নি; তাঁর কথাকে পাকিস্তান ক্রিকেট ভক্তরা ইতোমধ্যে ভুল বলে ব্যাখ্যা করেছেন। বিশ্বমঞ্চে অসম্মানিত বোধ করছে পাকিস্তান এমনটাই মনে করছেন তাঁরা।
এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খেলাধুলাকে রাজনীতি থেকে আলাদা রাখার ব্যাপারে তাঁদের অটল বিশ্বাসের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। দুই দেশের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বিবেচনা না করে খেলাধুলাকে ভিন্ন নজরে দেখতেই আগ্রহী দেশটি। এর আগে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভারতে খেলতে গিয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদিরা।
আহমেদাবাদে ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ মূলত ১৫ অক্টোবর হওয়ার কথা ছিল। তবে একইদিনে গুজরাটে স্থানীয় উৎসব হওয়ায় নিরাপত্তার কথা ভেবে ১৪ অক্টোবরে হাই ভোল্টেজ ম্যাচটি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও এই ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বের উন্মাদনা আগের মতই আছে।