এশিয়া কাপে পাকিস্তান না খেললেই লাভ ভারতের

এশিয়া কাপের গেল আসরে ফাইনাল খেলা হয়নি ভারতের। আর এবার পাকিস্তানের সাথে জটিলতায় জড়িয়ে এশিয়া কাপ আয়োজনটাই ঝুলে আছে। তবে, শেষ অবধি যদি এশিয়া কাপ মাঠে গড়ায়, আর তাতে না খেলে পাকিস্তান – তাহলে সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে ভারতেরই।

কারণ, পাকিস্তান না খেললে ভারতের অন্তত সুপার ফোরে খেলা মোটামুটি নিশ্চিত। এমনকি এগিয়ে থাকবে ফাইনালেও।  পাকিস্তানের আসন্ন এশিয়া কাপ বয়কট করার সম্ভবনা প্রবল। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, ‘আসন্ন এশিয়া কাপে অংশ নাও নিতে পারে পাকিস্তান।’

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চায় হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপ। ম্যাচ রাখতে চায় পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এই প্রস্তাব মানতে নারাজ বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। তাঁরা এশিয়া কাপ চায় শ্রীলঙ্কায়। এই অবস্থায় পিসিবি খুব সম্ভবত এশিয়া কাপ বয়কট করবে।

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের অনুপস্থিতিতে যুক্ত হতে পারে নতুন কোনো দল। সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে এরই মধ্যে এশিয়া কাপে যুক্ত হয়েছে নেপালের নাম। চলতি বছর এসিসি প্রিমিয়ার কাপের ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নেপাল।

এখন পাকিস্তান যদি এশিয়া কাপে আদৌ অংশ না নেয় তাহলে রানার আপ হিসেবে আরব আমিরাতের এশিয়া কাপে অংশ নেওয়া প্রায় নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে গ্রুপ ‘এ’র লড়াইটা ভারতের জন্য স্রেফ নিয়ম রক্ষার লড়াই হয়েই থাকবে। ‘এ’ গ্রুপে ভারতকে টপকে আমিরাত না নেপাল – কারোই গ্রুপে প্রথম হয়ে শেষ চারে খেলার স্বপ্ন দেখা খুবই কঠিন। বরংদ্বিতীয় স্থানেই নজর দেবে তাঁরা।

অন্যদিকে, ‘বি’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে সুপার ফোরে যারাই উঠুক না কেন – ভারতই এগিয়ে থাকবে কাগজে কলমে। এমনকি ফাইনালেও। তাই ২০১৮ সালের পর আবারও এশিয়া কাপ জয়ের উৎসবটা আগাম করে নিতে পারে ভারত।

অন্যদিকে আরেক সেমিফাইনালে নেপাল বা আরব আমিরাতকে পেলে বাকিদের জন্যও শেষ চারে অন্তত একটা জয় নিশ্চিত করার সুযোগ থাকবে। কারণ, এ গ্রুপে কার্যত ভারত ছাড়া বড় কোনো শক্তি নেই। তবে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) যদি এটা মাথায় রেখে গ্রুপিং পাল্টায় – তাহলে অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টাবে।

তবে, এর কোনো কিছুই এখনও চূড়ান্ত নয়। বিশেষ করে এখানে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি খুবই সরব। তাঁরা ভারত ও পাকিস্তান – দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্ততায় উঠে-পড়ে লেগেছে। কারণ, এশিয়া কাপে পাকিস্তান বা ভারত যে কোনো দলের অনুপস্থিতি বেশ বড় প্রভাব রাখতে পারে এ বছর অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link