ভারতের বিপক্ষে দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং করল বাংলাদেশ। তবে ব্যর্থতার আঁধারে কেবল মশাল জ্বালালেন সাইফ হাসান। ভারতের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে নিঃসঙ্গ শেরপার বেশে লড়াই চালালেন একা হাতে। তবে দিন শেষে ভারত জয় পেল ৪১ রানে, আর সাইফ বনে গেলেন পরাজিত নায়ক।
এদিন নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাসকে বিশ্রাম দিয়েই মাঠে নামল বাংলাদেশ। দায়িত্ব পড়ল জাকের আলীর কাঁধে। টস জিতে চেজ করার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ। একাদশে চার পরিবর্তন নিয়ে সাজানো হলো পরিকল্পনা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ ছিল ভারতের ওপেনিং জুটি। শুরুর দিকে অবশ্য গিল-অভিষেকদের বেঁধে রাখা গেল বেশ ভালোভাবেই। প্রথম তিন ওভারে ভারতের স্কোরবোর্ডে রান দাঁড়াল ১৭। তবে চতুর্থ ওভারে নাসুমকে টার্গেট করলেন দুই ব্যাটার, রান তখন একলাফে ৩৮। পাওয়ার প্লে শেষে হলো বিনা উইকেটে ৭২।

দিশেহারা বাংলাদেশকে তখন পথ দেখালেন রিশাদ হোসেন, ২৯ রান করা গিলকে তুলে নিলেন নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই। এরপর দুবেকে নিজের ঝুলিতে পুরলেন। তবে গলার কাঁটা তখনও অভিষেক শর্মা। এক প্রান্তে চালাতে থাকেন তাণ্ডবলীলা। তবে সেখানেও রিশাদ ম্যাজিক, বল হাতে নয় এবার দুর্দান্ত ফিল্ডিং করে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন অভিষেককে। ৩৭ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে বিদায় বলতে হয় তাঁকে।
একই ওভারে সুরিয়াকুমার যাদবকে ফেরান মুস্তাফিজ, বাংলাদেশেরও ভাগ্য ফেরে। ভারতের মিডল অর্ডার ভাঙা-গড়ার ভেতর দিয়ে চলছিল, রিশাদ-মুস্তাফিজরা সেই সুযোগের ফায়দা তুলল। মাঝের ওভারগুলোতে চেপে ধরল ভারতীয় ব্যাটারদের। শেষটাতে হার্দিক পান্ডিয়ার ৩৮ রানে ভর করে ভারতের রান দাঁড়াল ১৬৮ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেল বাংলাদেশ। তানজিদ তামিমকে থামতে হলো এক রানেই। তবে সাইফ-ইমন জুটি পাওয়ার প্লেতে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেয়নি। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় এক উইকেটে ৪৪। তবে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয় বাংলাদেশকে। হৃদয়-শামীমরা ব্যর্থ হয়েছেন, জাকের রান আউটে কাটা। আর টেল এন্ডার ব্যাটার দাঁড়াতেই পারলেন না।

সাইফ এক প্রান্তে অবিচল থাকলেন, সঙ্গীহীন একটা লড়াই চালিয়ে গেলেন একা হাতে। তবে কার্যত তাঁর একার পক্ষে করার ছিল না কিছুই। ৫১ বলে ৬৯ রানের দুর্দান্ত এক নক খেলে ফেরেন সাজঘরে। বাংলাদেশও থেমে যায় ১২৭ রানে, পরাজয়ের ব্যাবধানটা ৪১।
ভারতের সাথে প্রত্যাশা অবশ্য ছিল না বাংলাদেশের। এক কথায় বলতে গেলে অগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হারল জাকেরের দল। তবে বাংলাদেশের সামনে এবার ভার্চুয়াল সেমিফাইনাল, যেখানে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে আবারও মাঠে নামবে টাইগাররা। ওটা জিতলেই যে খুলে যাবে ফাইনালের দরজা।











