জাস্প্রিত বুমরাহই ভারতের পেস বোলিংয়ের একমাত্র ভরসা। তাঁকে ছাড়া ভারতের পেস বোলিংয়ের হাল ধরার আর কাউকেই খুঁজে পাচ্ছেনা বোর্ড। তাই তো চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) কর্মকর্তাদের কপালে।
আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দল গোছাতে ব্যস্ত প্রতিটি দেশ। ব্যস্ত বিসিসিআইও। তবে ভারতের ব্যাটিং যদি হয় চীনের মহাপ্রাচীর। তবে তাঁদের বোলিংকে বলা যায় বালির পাহাড়। যা সমুদ্রে পাড়ে তৈরি করেছে ছোট্ট একটি শিশু, যা এক ঢেউয়েই মিলিয়ে যায় সমুদ্রে। ব্যাটিংয়ে রয়েছে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
আবার কিপিংয়েও ফিরে এসেছেন ঋষভ পান্ত। তাছাড়া তাঁর বিকল্প হিসেবে রয়েছে লোকেশ রাহুল কিংবা সাঞ্জু স্যামসনের মত খেলোয়াড়রা। স্পিনারও আছে বেশ কয়েকজন। তবে সংকট শুধু পেস বোলিংয়ে। যা ক্রমশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে তা হল জাস্প্রিত বুমরাহর বাইরে পেস বোলিং বিকল্পের অভাব।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরে আট ম্যাচে ১৫.৬৯ গড়ে ৬.৩৭ ইকোনমিতে উইকেট নেন ১৩ টি। যা এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এই আইপিএলের আগে বোর্ডের অন্যতম পছন্দ ছিল মোহাম্মদ সিরাজ।
তবে, আইপিএলে তাঁর পারফরম্যান্স খুবই হতাশাজনক। তিনি ১০.৩৪ ইকোনমি রেটে ৫৩.৮০ গড়ে ৭ ম্যাচে নেন মাত্র পাঁচ উইকেট। তাঁর দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরু এখন পয়েন্টস টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে।
মুকেশ কুমার দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে তুলনামূলকভাবে ভাল করছেন। পাঁচ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যেখানে গড়ে রান দিয়েছেন ২০.২২, তবে তার ইকোনমি রেট ১০.৪০। বলে সুইং না থাকলে তিনি বেশি রান খরচ করেন।
আবার আট ম্যাচে ১০ উইকেট নেয়া পাঞ্জাব কিংসের বাঁ হাতি বোলার আর্শদীপ সিং এক্ষেত্রে কিছুটা নিরাপদ। যেখানে তাঁর ইকোনোমি রেট ৯.৪০। তাঁর মতই আবেশ খানও আট ম্যাচে ৩৬.৫০ গড়ে ৮ উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ইকোনমি রেট ৯.৪১।
কিছু নিয়মিত বোলাদের নিয়ে ভাবছেন নির্বাচকরা। থাঙ্গারাসু নটরাজন, যিনি পাঁচ ম্যাচে ১৭.০০ গড়ে আর ৮.৫০ ইকোনমি রেটে মাত্র ১০ টি উইকেট। একের পর এক ইয়র্কার দিকে আক্রমণ করছেন ব্যাটারদের উপর। অপরদিকে সন্দীপ শর্মাও তিন ম্যাচে নিয়েছেন ৬ উইকেট। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে মাত্র ১৮ রানে রাজস্থান রয়্যালসের এই পেসার নেন ৫ টি উইকেট।
খোলা আছে আরেকটি পথ। নির্বাচকরা ভরসা করতে পারেন নতুনদের উপরও। মহসিন খান, তুষার দেশপান্ডে, যশ ঠাকুর নাকি হার্ষিত রানা? কার উপরে করবেন ভরসা? কে ধরবে ভারতের পেস বোলিংয়ের হাল? সেটাই এখন দেখার বিষয়।